সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের দেড় বছরের ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) কোর্স থাকছে না। নতুন করে প্রাইমারি টিচার বেসিক ট্রেনিং (পিটিবিটি) নামের ১০ মাসের কোর্স চালু করা হচ্ছে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
প্রাথমিক শিক্ষার উদ্যোগ ও অর্জন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘ সময় ধরে পরিচালিত প্রাথমিক শিক্ষকদের ১ বছরের মৌলিক প্রশিক্ষক সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন (সিইনএড) বাদ দিয়ে দেড় বছরের ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) কোর্স চালু করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এই কোর্স প্রথমে দেশের ৭টি প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিটিউটে (পিটিআই) চালু করার পর সমালোচনার মুখে পড়ে কোর্সটি। এরপর থেকে ১০ বছরের বেশি সময় পরীক্ষামূলকভাবেই পরিচালিত হয় কোর্সটি।
সমালোচনার মুখে অবশেষে কোর্সটি পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। নতুন কারিকুলামকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন করে পিটিবিটি নামের ১০ মাসের প্রশিক্ষণ চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষক সিইনএড ছিল। পরে যুগের চাহিদা ও নতুন পাঠক্রম বিবেচনায় ২০১২ সালে দেশের ৭টি পিটিআইয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ডিপিএড কোর্স চালু হয়েছিল। এখন পর্যন্ত এটি পাইলটিং হচ্ছে।
সচিব বলেন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি বাচ্চাদের ভালো মেন্টরিং করার জন্য। ভালো মেন্টরিংয়ের জন্য গুরুত্ব দেওয়া উচিত প্যাডাগোজির ওপর। বর্তমান ডিপিএডে তাত্ত্বিক বিষয়ের ওপর গুরুত্ব বেশি দেওয়া হচ্ছে। সেই কারণে সবার মতামত নিয়ে প্যাডাগোজি ও মোটিভেশনাল আসপেক্টেকে গুরুত্ব দিয়ে কোর্স কারিকুলামকে পরিবর্তন করা হয়েছে। শিক্ষকদের এই অ্যাটাচমেন্ট হবে মূল্যায়নের আওবিটির আওতায়।
তিনি আরও বলেন, অ্যাটাচমেন্ট পিরিয়ডটাকে আমরা মূল্যায়নের আওতায় এনে ১০ মাসের কোর্স কারিকুলাম নতুনভাবে সাজিয়েছি। এটি যুগের চাহিদা মেটাবে, বাচ্চাদের মেন্টরিং করার জন্য যথাযথভাবে বিবেচিত হবে। আগের যে কোর্স কারিকুলাম রয়েছে, তার চেয়ে বেশি বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণটি আগে বাধ্যতামূলক আবাসিক ছিল না। এটি বাধ্যতামূলক আবাসিক প্রশিক্ষণ হবে। শিক্ষক যোগদান করার পর যদি সাত বছর আট বছর পর মৌলিক প্রশিক্ষণ পান, তাহলে প্রশিক্ষণ কোনো কাজে লাগে না। সে কারণে আমরা ১০ মাসের পিটিবিটি কোর্স চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।