গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী ও দেশরত্ন শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর জনগনের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে সারাদেশে ২০১০/২০১১ সালে চিকিৎসকদের নিয়োগ দেন। ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী সেই সকল নিয়োগকৃত চিকিৎসকদের চাকরিতে প্রথম যোগদানের তারিখ থেকে বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারভুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানানোর লক্ষ্যে সারাদেশ থেকে প্রায় ৭০০ জন চিকিৎসক আজ শনিবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকার ধানমন্ডির জিনজিয়ান রেস্টুরেন্টে মিলনমেলায় মিলিত হন।
ওই মিলনমেলায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন ও অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক ও স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস নিয়ে আলোচনা করা হয়। শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় উপস্থিত সবাই আগামী দিনগুলো সুন্দর পরিবেশে কাটানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন ডা. জুয়েল আলিম ও ডা. নীলাদ্রি হোড় (পার্থ), সার্বিক দিক নির্দেশনা ও সমন্বয়কারী হিসেবে ছিলেন ডা. নন্দলাল সূত্রধর। অন্যান্য কাজে সহযোগিতা করেন ডা. নুরুজ্জামান শাকিল, ডা. কামরুন নাহার, ডা. তানজিনা পারভিন, ডা. গোলাম মোস্তফা, ডা. মো. শরীফ বুলবুল ও ডা. সায়মা আফরোজ ইভাসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানটির সমন্বয়কারী ডা. নন্দলাল সূত্রধর বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে স্মরণ করে ২০১০/২০১১ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ও তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এ ছাড়া ২০১০/২০১১ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত ডাক্তারদের জন্য কী কী সাফল্য অর্জিত হয়েছে তা তিনি উপস্থিত সবার কাছে তুলে ধরেন।
ঢাকার ধানমন্ডির জিনজিয়ান রেস্টুরেন্টে ২০১০/২০১১ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত ডাক্তারদের ও সমন্বয়কারীর বক্তব্য প্রদান শেষে জমকালো পরিবেশে পিঠা উৎসব, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সমন্বয়কারী ডা. নন্দলাল সূত্রধরকে ক্রেস্ট প্রদান এবং ‘জলের গান’-এর সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী মিলনমেলার অনুষ্ঠান শেষ হয়।