ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র (ইউআইইউ) কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের
প্রফেসর খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন, পিএইচডি টেকনিক্যাল-প্রাইভেট (সেরা ব্যক্তি) ক্যাটাগরিতে “ডিজিটাল বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড ২০২২” অর্জন করেছে। গত ১২ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি’র কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি জাতীয় পর্যায়ে এই পুরস্কার অর্জন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সম্মানিত সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ এমপি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম পিএএ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি।
প্রফেসর খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন অ্যাডভান্সড ইন্টেলিজেন্ট মাল্টিডিসিপ্লিনারি সিস্টেম ল্যাব (এইমস ল্যাব), ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং সিমেড হেলথের প্রতিষ্ঠাতা। তার প্রতিষ্ঠিত এইমস ল্যাবে কম্পিউটার সায়েন্স এবং বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে গবেষণা করে। তার ১৫০ টিরও বেশি আন্তর্জাতিক জার্নাল এবং নিবন্ধ প্রকাশ হয়েছে। তিনি উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য বেশ কয়েকটি ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা মডেল উদ্ভাবন এবং বাস্তবায়নের পাশাপাশি পেটেন্টও করেছেন। তার গবেষণালব্দ উদ্ভাবন সিমেড হেলথ বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জন্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লব প্রযুক্তির মাধ্যমে হেলথ ইনক্লুসন নিশ্চিত করার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি ২০২১ সালে বাংলাদেশের প্রথম ব্রেইন কম্পিউটার ইন্টারফেস ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেন। এই ল্যাবটি হিউম্যান কম্পিউটার ইন্টারফেস, ব্রেন মেশিন ইন্টারফেস, বায়োমেডিকেল এবং রিহ্যাবিলিটেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে গবেষণায় অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। উল্লেখ্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ২ এপ্রিল ২০২২ উদ্বোধনকৃত অটিজম শিশুদের জন্য তৈরি করা “বলতে চাই” এবং “স্মার্ট অটিজম বার্তা” অ্যাপদ্বয়ের জন্য বিশেষ পুরস্কারে ভুষিত হন, যা এনডিডি ট্রাস্ট, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করা হয়। সম্প্রতি তার উদ্ভাবিত স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং টুল বি স্ক্যান অ্যাপটি ক্লিনিক্যালি বৈধতা পেয়েছে।