শিক্ষার্থীদের জন্য ২০১৮ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া ইউনিক আইডি প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩০ জুন। এর আগেই দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে বহুল আলোচিত ইউনিক আইডির তথ্য সংগ্রহের সময়। তথ্য গড়মিলে বেড়েছে ভোগান্তির জটও। তবে নতুন করে প্রকল্পটির মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি করে চলতি বছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ইউনিক আইডি সরবরাহ করা যাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)।
গত ৫ ডিসেম্বর প্রকল্পটির উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. মো. নাসির উদ্দিন গনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রকল্পের আওতায় এ আইডিতে শিক্ষার্থীরা তাদের স্কুলের ফি, পরীক্ষার ফলাফল, রক্তের গ্রুপ, বই সংগ্রহ, রেজিস্ট্রেশন, বৃত্তি-উপবৃত্তির অর্থ নেওয়া অর্থাৎ যত ধরনের নাগরিক সেবা আছে তার সবকিছুই পাওয়ার কথা রয়েছে। এস্টাবলিশমেন্ট অব ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইইআইএমএস) প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা চার পৃষ্ঠার ফরমে শিক্ষার্থীর নাম, জন্ম নিবন্ধন নম্বর, জন্মস্থান, জেন্ডার, জাতীয়তা, ধর্ম, অধ্যয়নরত শ্রেণি, রোল নম্বর, বৈবাহিক অবস্থা, প্রতিবন্ধিতা (ডিজঅ্যাবিলিটি), রক্তের গ্রুপ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কিনা, মা-বাবার নামসহ বেশকিছু তথ্য ঘর রয়েছে।
বৈবাহিক অবস্থার অপশন হিসেবে অবিবাহিত, বিবাহিত, বিধবা, বিপত্নীক ছাড়াও স্বামী-স্ত্রী পৃথক বসবাস, তালাকপ্রাপ্ত, বিবাহ বিচ্ছেদের তথ্যসহ সর্বমোট ১৫ ধরনের তথ্য সরবরাহ করতে অভিভাবকদের নির্দেশ দেওয়া হয়। সে সময় প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ৩৫৩ কোটি ২১ লাখ ৪২ হাজার টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (ব্যানবেইস)।
উল্লেখ্য, মোট ১ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার ৫৭ জন শিক্ষার্থী প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন। এদের মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ৯৭ লাখ ১৬ হাজার ২৫৮ জনের। অপরদিকে, ৬৩ লাখ ৫৩ হাজার ৭৯৯ জন শিক্ষার্থীর তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। এদের মাঝে ইউনিক আইডির জন্য ব্যবহার উপযোগী তথ্য রয়েছে ৬৯ লাখ ২৬ হাজার ১২২ জন শিক্ষার্থীর। অপরদিকে, নানাবিধ কারণে তথ্যে গড়মিল রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৯৩ হাজার ৫৬০ জন শিক্ষার্থীর।