ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চের উদ্ভাবিত ‘স্মার্ট সোলার ইরিগেশন সিস্টেম’ গবেষণা প্রকল্পটি বিশ্ব টেকসই প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে “এনার্জি গ্লোব অ্যাওয়ার্ড ২০২২” অর্জন করেছে। গবেষণা প্রকল্পের দলনেতা ও প্রধান গবেষক এবং ইউআইইউ’র সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চের পরিচালক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী গত ১৪ নভেম্বর সোনারগাঁও হোটেলে ঢাকাস্থ অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদূত কাথারিনা ভাইসারের কাছ থেকে এই অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। তিনি সেন্সর-ভিত্তিক স্মার্ট সৌর সেচ ব্যবস্থা উদ্ভাবনের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন।
স্মার্ট সোলার ইরিগেশন সিস্টেম হলো- সৌর শক্তির ওপর ভিত্তি করে একটি স্মার্ট, স্বয়ংক্রিয় পানি সেচ ব্যবস্থা। এ সিস্টেমে রয়েছে স্মার্ট সেন্সর, যেমন- মাটির আর্দ্রতা, পানির স্তর, পিএইচ সেন্সর ইত্যাদি। দিকনির্দেশক যোগাযোগ ব্যবস্থা, আইওটি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যবস্থা সম্বলিত উদ্ভাবিত সিস্টেমটিতে মোবাইল/ওয়েব-ভিত্তিক প্রিপেমেন্ট ব্যবস্থা যুক্ত রয়েছে। সিস্টেমটিতে রিমোট মনিটরিং, কন্ট্রোল এবং প্রি-পেমেন্ট ওয়াটার বিলিং সিস্টেম (পে-অ্যাস-ইউ-গো প্ল্যাটফর্ম) রয়েছে।
কৃষি জমির বিভিন্ন প্যারামিটার সেন্সিং করার জন্য সিস্টেমে বেশ কয়েকটি সেন্সর রয়েছে। যার মাধ্যমে সিস্টেমটি সেচের পানি নিয়ন্ত্রণ করে। সিস্টেমটি ফসল এবং মাটির ধরনের ওপর নির্ভর করে পানির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে। এটি পানির অতিরিক্ত ব্যবহার কমায়, ডিজেল কিংবা বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে, এটি সেচের জন্য মোট কার্বন নিঃসরণ কমায়।
উদ্ভাবিত সিস্টেমটি মানব সম্পদও সংরক্ষণ করে। কারণ এ পদ্ধতিতে দূর পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পরিচালনা করা যায়। সিস্টেমটি ব্যবহার করে মানুষের সেচ খরচও হ্রাস পাবে।
শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী অতীতে তার গবেষণা কাজ এবং উদ্ভাবনের জন্য বেশ কয়েকটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১৬ সালে জাতিসংঘের মোমেন্টাম ফর চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড (জাতিসংঘের ২২ তম জলবায়ু সম্মেলন ২০১৬ (মারাক্কেশ, মরক্কো), ইন্টারসোলার অ্যাওয়ার্ড ২০১৬ ( মিউনিখ, জার্মানি), এডুকেশন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০১৮ (মুম্বাই, ভারত), এশিয়ান ফটোভোলটাইক ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ (সাংহাই, চায়না), স্মার্টার ইউরোপ অ্যাওয়ার্ড ২০২২ (মিউনিখ, জার্মানি), ওয়ার্ল্ড সোসাইটি অফ সাসটেইনেবল এনার্জি টেকনোলোজিস-এর ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড ২০২২ (ইস্তাম্বুল, তুরস্ক) অর্জন করেছেন ।
এছাড়াও তার উদ্ভাবন ও গবেষণা কাজের জন্য তিনি ২০১৬ এবং ২০১৮ সালে জাতীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সপ্তাহের ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড এবং ২০২০ সালে বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।