উদ্ভাবন ও বুদ্ধিবৃত্তিক পরিবর্তনের মাধ্যমে উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে ইনোভেশন অ্যান্ড ট্র্যান্সফরমেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (আইটিডি) শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৯ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বাচল আমেরিকান সিটিস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসে বিজনেস, ল এবং আর্টস অ্যান্ড স্যোশাল সায়েন্সস অনুষদ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধন হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকিরের সভাপতিত্বে এতে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান, সম্মেলনের আহ্বায়ক ও গ্রিন বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক ড. গোলাম আহমেদ ফারুকী, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল আজাদ, সম্মেলনের জেনারেল চেয়ার ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারেক আজিজ ও রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুব সরওয়ার, পিএইচডি (এলপিআর) বক্তব্য রাখেন। দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, ভারত ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষক ও গবেষকরা অংশ নেন।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, গ্রিন ইউনিভার্সিটি সব সময় গবেষণা ও সৃজনশীলতায় গুরুত্ব দিয়ে আসছে। আইটিডি সম্মেলন এই ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে আরও অবদান রাখবে। তিনি বলেন, জাতি হিসেবে আমরা সত্যিই যদি উন্নতি করতে চাই, তবে অবশ্যই আমাদেরকে পরিবর্তন নিয়ে কাজ করতে হবে। বুদ্ধিবৃত্তিক পরিবর্তন ছাড়া জাতির ভাগ্য বদলাবে না।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান বলেন, আইটিডি সম্মেলনের মাধ্যমে মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণায় আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। এ সময় মানসম্মত শিক্ষায় গ্রিন ইউনিভার্সিটির এগিয়ে যাওয়া ও আইটিডি সম্মেলনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
সম্মেলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. গোলাম আহমেদ ফারুকী বলেন, যেকোনো উন্নয়ন বা ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রধান শর্ত হলো সমন্বিত প্রচেষ্টা। তিন অনুষদের ৫টি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত আইটিডি সম্মেলনে এ বিষয়টিই বজায় রাখা হয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল আজাদ বলেন, সম্মেলনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো ইনোভেশন এবং ট্রান্সফরমেশন। কারণ, যেকোনো ধরনের উন্নয়নে এই দুটো বিষয় অবশ্যম্ভাবী এবং তা সব সময় চলমান।
আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব বলেন, ভিন্ন ভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে শিক্ষক ও গবেষকরা এই সম্মেলনে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। যা সম্মেলন পরবর্তী সময়ে শিক্ষাক্ষেত্র ও সমাজের জন্য গভীর বার্তা দেবে।
আইটিডি সম্মেলনের নানা দিক তুলে ধরেন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারেক আজিজ।
রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুব সরওয়ার, পিএইচডি বলেন, যেকোনো ধরনের সম্মেলনই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। আইটিডি সম্মেলনও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। তিন অনুষদের উদ্যোগে আয়োজিত এ ধরনের সম্মেলন বিশ্ববিদ্যালয়কে উত্তোরত্তর এগিয়ে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএইচএম মুস্তাফিজুর রহমান, দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরিচালক খন্দকার সাফাত রেজা, ভারতের অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক উজ্জ্বল অনু চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্রে বইস স্টেট ইউনিভার্সিটির বইস স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জেসন বি ম্যাকডোনাল্ড, অধ্যাপক মার্গারেট এ গোরলাস্কি, অস্ট্রেলিয়ার কার্টেন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ডোরা মেরিনোভা, যুক্তরাষ্ট্রের রহিম কাজী, কানাডার ইলানা ডডি লুথার এবং যুক্তরাষ্ট্রের গ্র্যান্ড ভ্যালি স্টেট ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. আজফার হোসেন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন।
সম্মেলনের জন্য গ্রিন বিজনেস স্কুল, ল, ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান ও জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের অধীনে মোট ১৫৭টি প্রবন্ধ জমা পড়ে। সম্মেলনে মোট ৩৫টি সেশন ও ৭টি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।