জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা’ অনুসরণের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সকল পরিচালক/প্রকল্প পরিচালক, সকল উপপরিচালক/বিভাগীয় উপপরিচালক, সকল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার/সুপারিনটেনডেন্ট, পিটিআই, সকল উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার/ইন্সট্রাক্টর, ইউআরসিকে সম্প্রতি এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা-২০১৯-এর পরিমার্জিত সংস্করণ গত ২৫ সেপ্টেম্বর জারি করা হয়েছে।
এ নির্দেশিকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কর্মচারীদের করণীয় নির্ধারণ এবং এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, নির্দেশিকায় সামাজিক মাধ্যমে দাপ্তরিক ও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট তৈরি ও এতে পরিহারযোগ্য বিষয়াদি উল্লেখ করা হয়েছে। নির্দেশনার আলোকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরাধীন কর্মচারীদেরকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো অনুসরণের অনুরোধ করা হলো-
নির্দেশনায় যা বলা হয়েছে : ১. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকার বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়, এমন কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, মন্তব্য, লাইক ও শেয়ার করতে পারবেন না। এসব কাজ থেকে তাদের বিরত থাকতে হবে।
২. জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী কোনো রকম তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা থেকেও বিরত থাকতে হবে।
৩. কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন বা ধর্মনিরপেক্ষতা নীতিপরিপন্থী কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে, এমন কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকেও বিরত থাকতে হবে।
৪. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কোনো ‘কন্টেন্ট’ বা ‘ফ্রেন্ড’ সিলেকশনে সকলকে সর্তকতা অবলম্বন এবং অপ্রয়োজনীয় ট্যাগ, রেফারেন্স বা শেয়ার করা পরিহার করতে হবে।
৫. এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার বা নিজ অ্যাকাউন্টে ক্ষতিকারক কন্টেন্টের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মচারী ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন এবং সেজন্য প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৬. জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো সার্ভিসকে হেয়প্রতিপন্ন করে, এমন কোনো পোস্ট দেওয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে।
৭. লিঙ্গবৈষম্য বা এ সংক্রান্ত বিতর্কমূলক কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ ও শেয়ার করা যাবে না।
৮. এ ছাড়া জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে, এমন বিষয়ে লেখা, অডিও বা ভিডিও প্রকাশ বা শেয়ার করা যাবে না।
৯. ভিত্তিহীন, অসত্য বা অশ্লীল তথ্য প্রচার থেকেও বিরত থাকতে হবে।
১০. কোনো রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কেও বিরূপ মন্তব্য সংবলিত কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সব পরিচালক, সব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে ওই নির্দেশনায়।