নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: বছর ঘুরে আবারও আসছে সনাতন ধর্মালম্বীদের বৃহত ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এমন সময় উৎসবের রঙে একাকার হয়ে উঠেন দুই বাংলার বাংলা ভাষাভাষী মানুষজন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাই উদযাপনের পূর্ণতা দিতে পূজার এই সময়টাতে প্রতি বছর ভারতে ইলিশ রপ্তানী করে আসছে। কেননা পদ্মার এই রূপালী শস্য পাতে তোলার মাধ্যমেই রসনা তৃপ্তি মেলে দুই বাংলার ভোজন রসিকদের।
এরই ধারাবাহিকতায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে আরো ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। নতুন করে দুই দফায় ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ মেট্রিক টন করে এই ইলিশ দেওয়া হবে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে রপ্তানির এই আদেশ কার্যকর থাকবে। এর আগে গত ৯ দিনে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ৫১৬ মেট্রিক টন।
শুক্রবার সরকারি ছুটি, শনিবার বিশ্বকর্মা পূজায় ভারতীয় ছুটি ও রবিবার ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মাছ গ্রহণ না করায় টানা তিন দিন বন্ধ থাকবে ইলিশ রপ্তানির কার্যক্রম। সোমবার মাছ গ্রহণের মাধ্যমে শুরু হবে রপ্তানি কার্যক্রম।
বেনাপোল স্থলবন্দর ফিশারিজ কোয়ারেন্টিন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, ইলিশ রপ্তানির ২০২১-২০২৪-এর নীতিমালা অনুযায়ী দুই দফায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ মেট্রিক টন করে ৫৯টি প্রতিষ্ঠানকে মোট দুই হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ৫১৬ মেট্রিক টন। এর মধ্যে এক দিনের সরকারি ছুটি ছিল। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে রপ্তানির এই আদেশ কার্যকর থাকবে। বেশির ভাগ ইলিশ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি হবে বলে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে।
ইলিশ মাছ রপ্তানিকারক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান রেড উইংস অ্যাসোসিয়েটের মালিক সিফাত মোহাম্মদ রাফসান জানি বলেন, প্রথম দফায় ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে ও পরে আরো ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ১০ মার্কিন ডলার মূল্যে রপ্তানি হচ্ছে প্রতি কেজি ইলিশ। বাংলাদেশি টাকায় যা কেজি প্রতি ৯৪৮ টাকা।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া জানান, ইলিশ দ্রুত রপ্তানির জন্য কাস্টমসের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের কাস্টমস থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ইলিশের এ চালান ছাড় করানো হচ্ছে।