এশিয়া কাপে গতকাল রাতে আফগানিস্তান পাকিস্তানের কাছে হেরে যাওয়ায় এশিয়া কাপের ফাইনালে আর ওঠা হলোনা ভারতের। শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান। ভারতের এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠতে না পারার বিষয়টি মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে দেশটির ক্রিকেটপাগল সাধারণ সমর্থকদের অনেকের।
ভারত–পাকিস্তান ফাইনাল আর দেখা হলো না ক্রিকেটপ্রেমীদের। সুপার ফোরে পাকিস্তান ও শ্রীলংকার সাথে টানা দুই ম্যাচ হেরেছে ভারত। রবীন্দ্র জাদেজা চোটে পড়ায় ওই দুই ম্যাচে একাদশে পরিবর্তন আনতে হয়েছে রোহিত শর্মাকে। জাদেজার জায়গায় ভারত ওই দুই ম্যাচে খেলিয়েছে অলরাউন্ডার দীপক হুদাকে। এমনিতে হুদা ওপরের দিকে ব্যাট করেন। কিন্তু দুই ম্যাচেই ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট চেষ্টা করেছে তাঁকে জাদেজার মতো ফিনিশার হিসেবে খেলাতে।
দুই ম্যাচেই সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামেন হুদা। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে নাসিম শাহর বলে মোহাম্মদ নওয়াজের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১৪ বলে করেন ১৬ রান। পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে পেরেছেন ৪ বল। মাদুশঙ্কার বলে আউট হওয়ার আগে রান করেছেন মাত্র ৩।
ভারতের ফাইনাল খেলা হবে না—এটা নিশ্চিত হওয়ার পর টিম ম্যানেজমেন্টের এ জায়গাটা নিয়েই সমালোচনা করেছেন ভারত জাতীয় দলের বাইরে থাকা ওপেনার রবিন উথাপ্পা। তিনি যা বলেছেন, তার মর্মার্থ এ রকম—পণ্ডিতি করতে বা বেশি বুঝতে গিয়েই সর্বনাশ হয়েছে ভারতের!
হুদাকে ‘জোর করে’ ফিনিশার বানানোর চেষ্টা যে ভারতের জন্য বুমেরাং হয়েছে, উথাপ্পা বলেছেন সেটাই, ‘গত দুই ম্যাচে ভারত যেটা করেছে, তা হলো যাদের দলে রেখেছে, তাদের সঠিক পজিশনে খেলায়নি। দীপক হুদা ফিনিশার নয়, সে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের হয়ে ফিনিশারের ভূমিকায় খেলেনি। অতীতে ভারতের হয়েও সে এ ভূমিকায় কখনো ব্যাট করেনি।’
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের এ দুটি ম্যাচের আগে হুদার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা মাত্র ১৭টি ম্যাচের। এমন একজনকে এভাবে বড় পরীক্ষায় ফেলে দেওয়াটা ঠিক হয়নি বলে মনে করেন উথাপ্পা, ‘এশিয়া কাপের মতো একটি টুর্নামেন্টের শেষ দিকে এসে আপনি তাকে ৬ ও ৭ নম্বরে নম্বরে নামিয়ে দিলেন। এটা তো তাকে চাপে ফেলে দেওয়া। সে নির্দিষ্ট একটা পজিশনে খেলে এবং উঁচু মাপের ব্যাটসম্যান। তাকে তার জায়গায় খেলতে দিন।’
উথাপ্পা এরপর যোগ করেন, ‘আমরা এমন একটা জিনিস জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছি, যেটা ভাঙেইনি। আমরা একটু বেশিই ভাবনাচিন্তা করে ফেলেছি।’