এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বোলিং করতে এসে প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেললেন মুশফিকুর রহিমকে, পরের ওভারে এসে এলবিডব্লু করে ফেরত পাঠালেন আফিফকেও। আফিফের উইকেটটি আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় দুইয়ে তুলে দিল রশিদ খানকে। যেখানে আগে থেকেই ছিলেন নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি।
দ্বিতীয় স্থানটা অবশ্য বেশিক্ষণ ভাগাভাগি করতে হলো না। নিজের শেষ ওভারে মাহমুদউল্লাহকে মিড উইকেটে ক্যাচ বানিয়ে ইনিংসে তৃতীয় উইকেট নিলেন আফগান লেগ স্পিনার। সাউদিকে ছাড়িয়ে একক অধিকারে নিয়ে নিলেন টি–টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি উইকেটশিকারিদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানটি। তালিকায় যে একজনই তাঁর উপরে, এই ম্যাচে তিনি রশিদ খানের দলের প্রতিপক্ষ অধিনায়ক। সাকিব আল হাসান।
আফগানিস্তানের ইনিংস শুরুর আগে সাকিবের উইকেটসংখ্যা ছিল ১২১। রশিদ খানের মাত্র ৬টি কম। টি–টোয়েন্টিতে ১০০–এর বেশি উইকেট নিয়েছেন মাত্র চারজন বোলার। সাকিব আর রশিদের কথা তো জেনেই গেলেন, সাউদির কথাও তো পরোক্ষভাবে জানিয়েই দেওয়া হয়েছে। উইকেটের সেঞ্চুরি করা চতুর্থজন শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা (১০৭)। টি–টোয়েন্টিতে এই মাইলফলক প্রথম স্পর্শ করার কৃতিত্ব যাঁর।
বোলিংয়ের যত রকম পরিসংখ্যান আছে, সেসবে অবশ্য রশিদ খান বাকি সবার চেয়েই এগিয়ে। ১১৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি মাত্র ৬৮ ম্যাচে। সাউদিকে ১১৪ উইকেট নিতে যেখানে খেলতে হয়েছে ৯৫ ম্যাচ। মালিঙ্গার ১০৭ উইকেট এসেছে ৮৪ ম্যাচ খেলে। আর সাকিব তো আজ শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলছেন আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে শততম ম্যাচ। শুধু কম ম্যাচ খেলাতেই এক শ উইকেট নেওয়া বোলারদের মধ্যে রশিদের শ্রেষ্ঠত্বের শেষ নয়; বোলিং গড় (১৩.৭৩) ও স্ট্রাইক রেটেও (১৩.৩) তিনি সবার চেয়ে এগিয়ে। তুলনার জন্য শুধু সাকিব আল হাসানের পরিসংখ্যানটা বলে দেওয়া যাক। সাকিবের বোলিং গড় ১৯.৮৬, স্ট্রাইক রেট ১৭.৮।
স্ট্রাইক রেট মানে তো জানেনই—গড়ে প্রতিটি উইকেট নিতে কয়টি বল করতে হয়েছে। যা বলে দিচ্ছে, টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার যে রেকর্ডটি এখন সাকিবের, সেটির বড় চ্যালেঞ্জার রশিদ খান। রেকর্ডটা কিছুদিনের মধ্যেই হাত বদল হলে খুব আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না।