২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসর। ইতোমধ্যেই নতুন আঙ্গিকে আনতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে চলতি মাসের শুরুতে আগ্রহী ফ্র্যাঞ্চাইজিদের দরপত্র আহ্বান করেছিল বোর্ড।
৩০ আগস্ট শেষ হয়েছে আগ্রহী ফ্র্যাঞ্চাইজিদের দরপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। তিন বছরের জন্য এবারে ফ্র্যাঞ্চাজিদের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে বোর্ড। কিন্তু লম্বা সময়ের জন্য এই চুক্তিতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি বিপিএলের তিনবারের চ্যাম্পিয়ন দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বিপিএলের প্রথম আসর থেকে সবশেষ আসর পর্যন্ত প্রতিটিতেই অংশ নিয়েছিল কুমিল্লা।
এদিকে দল নিতে আগ্রহ দেখায়নি বেক্সিমকো ও জেমকন গ্রুপ। বেক্সিমকোর মালিকানাধীন ছিল ঢাকা ও জেমকনের খুলনা। বিপিএলের গত আসরেও তারা অংশ নেয়নি।
এদিকে আখতার গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, প্রগতি গ্রুপ ও ফরচুন গ্রুপ আগ্রহ দেখিয়েছে দলের মালিকানা পেতে। আখতার গ্রুপ চট্টগ্রাম, বসুন্ধরা রংপুর, প্রগতি গ্রুপ সিলেট ও ফরচুন আগ্রহ প্রকাশ করেছে বরিশালের মালিকানা পেতে।
পাশপাশি দুটি নতুন প্রতিষ্ঠান আগ্রহ জানিয়েছে বিপিএলের অংশ হতে। এরে ভেতর একটি হল মোনাক মার্ট ও অপরটি মাইন্ড ট্রি গ্রুপ।
দরপত্র পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যাচাই বাছাই করে কিছুদিনের ভেতরই জানিয়ে দেয়া হবে কারা পেতে যাচ্ছেন কোন দলের মালিকানা।
আসন্ন আসরে বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে পারে টুর্নামেন্টের আয়োজনে। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে তিন বছর মেয়াদি চুক্তির পাশাপাশি খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বকেয়া রোধে পদক্ষেপ নিচ্ছে বোর্ড আসন্ন আসর থেকেই।
পারিশ্রমিকের নিরাপত্তা ইস্যুতে বিসিবিকে ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর। গ্যারান্টি হিসেবে সাড়ে আট কোটি টাকা দিতে হবে বোর্ডকে। আর ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি দেড় কোটি টাকা তো আছেই। সব মিলিয়ে মৌসুম শুরুর আগেই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে গুনতে হবে ১০ কোটি টাকা।