টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ২০১৬ সালের পর এশিয়া কাপে আবারও দেখা মিলেছে এই সংস্করণের। দ্বিতীয়বার শুরু হওয়া এই সংস্করণে টাইগাররা এখনো খুব একটা ধারাবাহিক না। এসব কারণেই কোচ ও অধিনায়ক বদলে চলমান এশিয়া কাপে নতুনত্ব আনতে চেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
কিন্তু এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেই শ্রীলংকার বিপক্ষে আফগানিস্তান দলের ক্ষুরধার বোলিং ও ধুম-ধাড়াক্কা ব্যাটিং দেখে দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে গেছে টাইগার শিবিরে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৫৯ বল হাতে রেখে ১০৫ রানের বিশাল ব্যবধানে শ্রীলংকাকে হারায় আফগানিস্তান।
সে ম্যাচের বিষয়টি আমলে নিয়েই বিসিবি সভাপতির অকপটে স্বীকার করেন, দল নিয়ে তিনি বেশ চিন্তিত, তবে কাউকে ভয় পায় না বাংলাদেশ।
রহমাতুল্লাহ গুরুবাজের মতো ১৮ বলে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলার মতো ব্যাটার বাংলাদেশ দলেও আছে। তবে তা মাঠেই প্রমাণ দেবে বাংলাদেশ – সে কথাই জানালেন দলের স্পিন-অলরাউন্ডার মেহিদী হাসান মিরাজ। তিনি জানালেন, ‘যারা ব্যাটিং ভালো করবে তাদের সুযোগ বেশি থাকবে (ম্যাচ জেতায়)।
এদিকে আফগান দলের দুই স্পিনার রশিদ খান ও মুজিব-উর-রহমানের স্পিনবিষকে নিবির্ষের প্রশিক্ষণ সেরে রেখেছে টাইগাররা। নেটে দুই ভারতীয় লেগস্পিনার দিয়ে সাকিব-মুশফিকদের ঝালিয়ে নিয়েছেন দলের ট্যাকনিক্যাল পরামর্শক শ্রীধরন শ্রীরাম।
এখন এটাই প্রশ্ন আজকে শারজায় বাংলাদেশ একাদশে দেখা যাবে কাদের?
সে প্রশ্নে, ওপেনিংয়ে এনামুল হক বিজয় নিশ্চিত। তার সঙ্গী হিসেবে দেখা যেতে পারে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকেই। এর পর মুশফিক, রিয়াদ ও মিডলঅর্ডারে অলরাউন্ডার আফিফ দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন। প্রয়োজনে হাল ধরবেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
বোলিংয়ে পেস আক্রমণে মোস্তাফিজুর রহমান ও এবাদত হোসেন নিশ্চিত। চোট কাটিয়ে দীর্ঘ সময় পর জাতীয় দলে ফেরা অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে দেখা যেতে পারে তাদের সঙ্গী হিসেবে। স্পিনে মিরাজের সঙ্গে দেখা যেতে পারে নাসুম আহমেদকে।
এশিয়া কাপের বাংলাদেশ দলের চূড়ান্ত স্কোয়াড:
এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন (সহ-অধিনায়ক), মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত/সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ, এবাদত হোসেন।