গবেষণায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উৎসাহ বাড়ানো, গবেষণার প্রচার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সংস্কৃতি বিকশিত করার লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো ‘রিসার্চ ডে ২০২২’ উদযাপন করেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। গত ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে পোস্টার প্রেজেন্টেশন, রিসার্চ ক্যাফে, কুইজ কম্পিটিশনের মাধ্যমে বৈচিত্রপূর্ণ ও বহুমুখী গবেষণাকর্ম প্রদর্শন করেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষকবৃন্দ। বার্ষিক গবেষণা কার্যক্রমের স্বীকৃতি এবং নতুন গবেষণা দল তৈরি ও সহযোগিতার ক্ষেত্রেও প্রভাবকের কাজ করেছে রিসার্চ ডে’র এই আয়োজন।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির রিসার্চ ডে’র এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সেক্রেটারি এন এম জিয়াউল আলম, পিএএ। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ভিনসেন্ট চ্যাং এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-প্রেসিডেন্ট রিসার্চ প্রফেসর ড. চারালবস ডৌমানিডিস।
অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্যে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির রিসার্চ ডে ২০২২ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দেন প্রফেসর ড. ডৌমানিডিস। সেই সাথে তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা উদ্যোগসমূহ সম্পর্কেও আলোকপাত করেন।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ভিনসেন্ট চ্যাং বলেন, ‘গবেষণাই বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার পরবর্তী অগ্রদূত। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ হলো নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করা এবং সেটার জন্য গবেষণা অত্যাবশ্যকীয়।’ বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশের জন্য গবেষণার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য যেন বাংলাদেশ সরকারের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ রূপকল্পেরই এক প্রতিচ্ছবি বলে মন্তব্য করেন তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সেক্রেটারি এন এম জিয়াউল আলম। তিনি বলেন, ‘রিসার্চ ডে ২০২২ বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার জন্য একটি অনুকরণীয় এবং সময়োচিত উদ্যোগ। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কাছ থেকে আমরা তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক আরো গবেষণা প্রত্যাশা করি।’
এছাড়াও অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে ‘রিসার্চ এক্সলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ দেয়া হয়। এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্কুল অফ ফার্মেসির অ্যাসিসটেন্ট ডিন এবং প্রোগ্রাম ডিরেক্টর প্রফেসর হাসিনা ইয়াসমিন।