শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষকের ভূমিকায়ও পরিবর্তন হবে। শিক্ষকদের শুধুমাত্র শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। শিক্ষকবৃন্দ একাধারে সহায়ক এবং পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করবেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিক্ষা হবে আনন্দময়। মুখস্ত নির্ভরতা থাকবে না । পরীক্ষা ভীতি থাকবে না। নতুন শিক্ষাক্রম হবে অভিজ্ঞতা নির্ভর। শিক্ষার্থীরা করে করে শিখবে। শিক্ষামন্ত্রী গত ২৫ আগস্ট পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের আয়োজনে ” শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন” শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো: হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হাফিজা খাতুন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. এস.এম. মোস্তফা কামাল প্রমূখ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নিজেদের স্বার্থে অতীতের সরকারগুলি ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থা চালু রেখেছিল। একটি বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ঔপনিবেশিক কেরানি তৈরির শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছেন। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৪১ সালের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়নে দক্ষ ও প্রযুক্তি নির্ভর মানব সমাজ গঠনে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ট্রানসফর্ম করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে সকলকে সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করার আহ্বান জানান তিনি।
প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ৭৫ এর পরে ২১ বছর ইতিহাস বিকৃত করে একটি প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি থেকে দূরে রাখা হয়েছিল। একটি আলোকিত শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য বঙ্গবন্ধু , রবীন্দ্র, নজরুল ও বিজ্ঞান চর্চা জরুরী বলে তিনি মত দেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের যে অপার সম্ভাবনা আছে তাকে কাজে লাগিয়ে সমতা নির্ভর রাষ্ট্র গঠন করতে হবে।
প্রফেসর ড. হাফিজা খাতুন বলেন, পাশাপাশি অন্যান্য জেলার তুলনায় শিক্ষায় পাবনা পিছিয়ে আছে। এই অঞ্চলকে শিক্ষায় এগিয়ে নিতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করে যাচ্ছে।