গত মৌসুমে যাচ্ছেতাই পার্ফমেন্স করা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড প্রিমিয়ার লিগে মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই ব্রাইটনের কাছে হেরে যায় ২-১ ব্যাবধানে। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে ব্রেন্টফোর্ডের কাছে ৪–০ গোলে হেরে যাওয়ার পর খবর এল—ওল্ড ট্রাফোর্ডের ক্লাবটিই রোনালদোকে ছেড়ে দিতে পারে! এমন খবর আসতে না আসতেই রোনালদো সংবাদমাধ্যমের ওপর নিজের সমস্ত রাগ ঝেড়ে দিলেন। তাঁর কথা—সংবাদমাধ্যম যা বলছে, সেগুলো সব মিথ্যা!
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছাড়তে চাওয়ার গল্প যেন এমন—শেষ হয়েও হলো না শেষ! অনেক দেন–দরবারের পর রোনালদো ইউনাইটেডের হয়ে অনুশীলন শুরু করেন। নতুন মৌসুমের শুরুটাও ইউনাইটেডের হয়েই করেছেন। কিন্তু ইউনাইটেড লিগে প্রথম দুই ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর শোনা গেল অন্য কথা।
৩৭ বছর বয়সী সিআরসেভেন সংবাদমাধ্যমের ওপর রাগ ঝাড়তে বেছে নিয়েছেন ইনস্টাগ্রাম। রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাসের সাবেক তারকা ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘সপ্তাহ দুয়েক আগে তারা যখন সাক্ষাৎকার নিল, তখনই তো সত্যটা জানে। সংবাদমাধ্যম মিথ্যা কথা বলছে।’
রোনালদো এখানেই শেষ করেননি। সংবাদমাধ্যম কখন কী লিখেছে বা বলেছে, সেগুলোর সব হিসাব নাকি তাঁর কাছে আছে। আর সংবাদমাধ্যমের সেই লেখার কতটুকু সত্য আর কতটুকু মিথ্যা, সেটাও রোনালদো হিসাব করে রেখেছেন, ‘আমার একটি নোটবুক আছে। গত কয়েক মাসে আমাকে নিয়ে ১০০ খবর হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র পাঁচটিই সত্য।’
গত মৌসুম শেষেই রোনালদো ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি আর ইউনাইটেডে থাকতে চান না। সেই থেকেই তাঁকে নিয়ে শুরু হয় নানা ধরনের গুঞ্জন। রোনালদো কোথায় যেতে পারেন, এ নিয়ে চলতে থাকে আলোচনার পর আলোচনা।
কখনো চেলসির নাম এসেছে, কখনো বা আতলেতিকো মাদ্রিদ বা বায়ার্নের কথাও শোনা গেছে। সেই সব আলোচনার মধ্যেই ইউনাইটেড ঘোষণা দিয়েছিল—রোনালদোকে তারা ছাড়বে না। রোনালদো ইউনাইটেডের হয়ে মাঠেও নেমেছেন। এখন আবার ইউনাইটেড উল্টো সুর ভাজছে! কোনটা যে সত্য আর কোনাটা যে মিথ্যা, কেই বা বলতে পারবে! তবে সত্য খুব দ্রুতই সামনে আসবে বলেও জানিয়েছেন রোনালদো। সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া আর উপায় কী!