বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় শোক দিবসের পোস্টার ও ব্যানারে জাতির পিতার ছবি ছাড়া অন্য কোনো ছবি ব্যবহার করা যাবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দফতর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত ২৭ জুলাই জারি করা নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচলকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস যাথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভির্যের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা আওতাধীন দফতর, সংস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পালন করবে।
নির্দেশনায় বলা হয়, আগামী ১৫ আগস্ট সোমবার জাতীয় পতাকা অর্ধ্বনমিত রাখতে হবে।
মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ এবং আওতাধীন অধিদফতর, সংস্থা, দফতরগুলোর পক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে সকাল ৮টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এ সময় দুই বিভাগের যুগ্ম-সচিব ও এর উর্ধ্বতন পর্যায়ের কর্মকর্তা, দফতর ও সংস্থা প্রধানসহ অনধিক ৫ জন উপস্থিত থাকবেন।
জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার জেলা তথ্য অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পোস্টার সংগ্রহ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রচারের ব্যবস্থা করবেন। যাদের এলইডি বোর্ড রয়েছে তারা এলইডি বোর্ডের মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করবেন। সব দফতর ও সংস্থার কার্যালয়ে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট অফিসসের দৃশ্যমান স্থানে জাতীয় শোক দিবসের ভাবগাম্ভির্য অক্ষুণ্ন রেখে ব্যানার স্থাপন করতে হবে। পোস্টার ও ব্যানারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ছাড়া অন্য কোনও ছবি ব্যবহার করা যাবে না। মন্ত্রণালয় থেকে ব্যানারের নমুনা তৈরি করে সব দফতর ও সংস্থায় পাঠানো হবে। দফতর ও সংস্থা তা অনুসরণ করবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন অধিদফতর, সংস্থা ও দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাসব্যাপী কলো ব্যাজ ধারণ করবেন।
সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জাতীয় শোক দিবসে দিবসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, চিত্র প্রদর্শনী এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে। আলোচনায় আমন্ত্রিত অতিথিদের প্রস্তুতি নেওয়ার সুবিধার্থে নির্ধারিত দিন তারিখের আগেই অবহিত করবেন। শিক্ষার্থীদের বয়সভিত্তিক গ্রুপে বিভক্ত করে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে এবং পরবর্তীতে পুরস্কার বিতররণের আয়োজন করবে।
সব পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্ব স্ব ব্যবস্থাপনায় জাতীয় কর্মসূচির আলোকে কর্মসূচি প্রণয়ন করে বিদস পালনের ব্যবস্থা করবে। সব দফতর ও সংস্থা সুবিধামত সময় আলোচনা সভার আয়োজন করবে। দেশের সকল শিক্ষা বোর্ড বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা, আমার দেখা নয়া চীন, বই এবং জাতির পিতার ওপর রচিত বই যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে অসচ্ছল, তা যাচাই করে তালিকা তৈরি করে সামর্থের মধ্যে বিনামূল্যে বই সরবরাহ করার জন্য চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ওপর আয়োজিত কুইজ প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে শোক দিবসের অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দিতে হবে।