শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীক জানিয়েছেন, এক বছরে প্রায় ৫০ লাখ শিক্ষার্থীকে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার বৃত্তি দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ২০ লাখ ছাত্র ও ৩০ লাখ ছাত্রী এ বৃত্তির টাকা পাবে। এটাকে আমরা বিনিয়োগ হিসেবে দেখছি।
গত ১৯ জুন মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক পাস ও সমমান পর্যায়ের দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি এবং ভর্তি সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করার কথা থাকলেও তিনি কোভিড পজিটিভ হওয়ায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
আবু বকর ছিদ্দীক বলেন, আমরা মানসম্মত শিক্ষার কথা বলি। কিন্তু এর প্রধান অনুষঙ্গ হলো শিক্ষক। কিন্তু শিক্ষকদের মান-মর্যাদা না দিলে ভালো শিক্ষা আশা করা যায় না। আজ ৯৫ জন অধ্যক্ষকে চতুর্থ গ্রেড থেকে তৃতীয় গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। দ্বিতীয় ও প্রথম গ্রেডে নিয়ে যাওয়ারও কাজ চলছে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, জানি না করোনাকালে কত শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। যখন আমরা কোভিড ঝুঁকি থেকে বের হচ্ছিলাম, ঠিক তখনই দেশে বন্যা এলো। আমরা অবশ্যই প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মোকাবিলা করব। আমরা ইতোমধ্যেই বন্যাকবলিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেছি।
প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব চিন্তা থেকে শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এটা সত্যিই শিক্ষার্থীদের জন্য আশীর্বাদ। শেখ হাসিনা যেভাবে মানুষের পাশে এসেছেন, ঠিক এমনভাবে শিক্ষার্থীদের মানবিক কাজে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।