আগামী ১৮ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডিজিটাল বাণিজ্য খাতের জাতীয় সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- ইক্যাবের ২০২২-২৪ দ্বি-বার্ষিক কার্য নির্বাহী কমিটির নির্বাচন। করোনার অভিঘাতে জাতীয় সঙ্কট মোকাবেলায় প্রশংসিত উদ্যোগ গ্রহণের কারণে এবারের নির্বাচনকে ঘিরে সদস্যদের মধ্যে রয়েছে সতস্ফূর্ত আমেজ। মনোনয়ন ফি অর্ধেকে নামিয়ে আনায় এই আমেজ বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ।
রোববার (২৪ এপ্রিল) রাতে পূর্ব নির্ধারিত ফি বাতিল করে আসন্ন নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্রের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। সেই সাথে পদ বন্টনের ফি প্রত্যাহার করেছে নির্বাচন বোর্ড।
সংগঠনের সদস্যদের পক্ষে নির্বাচন বোর্ডের কাছে করা মোনোনয়ন পত্র আবেদন ফি পুনোঃবিবেচনার আবেদন মঞ্জুর করায় এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার। তিনি বলেছেন, গত ২২ এপ্রিল (শুক্রবার) আমার করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ এপ্রিল বোর্ড সভা করে নির্বাচন বোর্ড আবেদন ফি কমানোয় কমিশনের প্রতি আমাদের আস্থা বেড়ে গেছে। আমরা আশা করি, এই সিদ্ধান্ত ই-ক্যাব পরিবারের সকলের আশার প্রতিফলন ঘটেছে। এটা সদস্যদের মধ্যে ভোট নিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনা বহুগুণে বাড়িয়ে দিলো।
এর আগে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- ইক্যাবের ২০২২-২৪ দ্বি-বার্ষিক কার্য নির্বাহী কমিটির নির্বাচনের তফসিলে নির্বাচনে সভাপতি পদে আড়াই লাখ টাকা, সহ-সভাপতি পদে দেড় লাখ টাকা, সাধারণ সম্পাদক ও অর্থসম্পাদক পদে ৭৫ হাজার টাকা এবং পরিচালক পদের জন্য মনোনয়ন ফি বাবদ ৫০ হাজার টাকার অফেরতযোগ্য জামানত দেয়ার শর্ত ছিলো।
পরে বিষয়টি নিয়ে ই-ক্যাব বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন বোর্ড চেয়ারম্যান আমিন হেলালীর সভাপতিত্বে এ নিয়ে রোববার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় বৈঠক করেন অপর দুই সদ্য আব্দুর রাজ্জাক ও বজলুর রহমান। বৈঠক শেষে তারা আগের তফসিলের শর্ত প্রত্যাহার করে নতুন করে ফি নির্ধারণ করে দেন।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন তফশীল অনুযায়ী, গত ১৯ এপ্রিল ছিলো সদস্যদের বার্ষিক চাঁদা পরিশোধের শেষ দিন। ২১ এপ্রিল প্রকাশ করা হয় প্রাথমিক ভোটার তালিকা। এই তালিকায় রয়েছে ৭৮৩জন ভোটারের নাম। আগামী ১০ মে প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। এরপর ১১ মে থেকে শুরু হবে মনোনয়নপত্র বিতরণ। প্রার্থীতা প্রত্যাহার করা যাবে ২৯ মে পর্যন্ত। আর ভোট গ্রহণ ও পদ বণ্টন শেষে আগামী ২ জুলাই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন পরবর্তী কার্যনির্বাহী কমিটি।