শিক্ষা, সংস্কৃতি ও গবেষণায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের আন্তর্জাতিক সংগঠন বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা পত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (৫ মার্চ) রাতে ভারতের কলকাতায় একটি হোটেলে এই সমঝোতা পত্র স্বাক্ষরিত হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান এবং বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের আহ্বায়ক সৌম্যব্রত দাস এই সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষর করেন। এই সমঝোতা পত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, কলকাতাস্থ বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনের উপরাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান। আরও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাক্তন মুখ্য সচিব অমিত কিরণ দেব, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক পবিত্র সরকার, বোম্বে ও কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড এর সভাপতি বিচারপতি চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায়, কলকাতা হাইকোর্টের সিনিয়র বিচারপতি সোমেন সেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গাঙ্গুলী, কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সমরেশ ব্যানার্জী, বর্তমান সাংসদ ও কলকাতার মহানাগরিক বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য্য, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই চন্দ্র সাহা, পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈকত মিত্র, সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ধ্রুবজ্যোতী চ্যাটার্জী, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেইট ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন উপাচার্য অশোক রঞ্জন ঠাকুর, কলকাতা রিসার্চ ইউনিভার্সিটির পরিচালক ও বিজ্ঞানী সব্যসাচী ভট্টাচার্য্য, শিল্প দপ্তরের সচিব সঞ্চিতা হাজরা, পিয়ারলেস হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. সুজিত কর্পরকায়েস্ত, প্রখ্যাত চিকিৎসক অশোক পোনাগ, রেডক্রসের সচিব সৈয়দ নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
এরআগে দুপুর ১২টায় জোড়াসাঁকরে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। সেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতির প্রতি পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য। এরপর রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সব্যসাচী বসু রায়ের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপাচার্য ড. মশিউর রহমান। সভায় দুই দেশের শিক্ষা ও গবেষণায় যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়। রবীন্দ্র ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষা-গবেষণা-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড একসঙ্গে পরিচালনার বিষয়ে ইতিবাচক মতামত ব্যক্ত করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যও এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং আলোচনায় সহমত ব্যক্ত করেন।
শিক্ষা খাতে বিভিন্ন বিষয়ে অগ্রগতি ও উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে গত ৪ মার্চ উপাচার্য ভারত সফরে যান। ওইদিন বিকালে ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বই মেলায় অংশগ্রহণ করেন তিনি। বাংলা ভাষাভাষী মানুষের আন্তর্জাতিক সংগঠন বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড এর আমন্ত্রণে এই সফর করেন উপাচার্য। দুইদিনের এই সফরে শিক্ষা, গবেষণা ও সংস্কৃতির বিনিময়ে ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শীর্ষস্থানীয় বাঙালি বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও পেশাজীবীর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন উপাচার্য। আজ ৬ মার্চ বিকালে বাংলাদেশে ফেরেন তিনি।