গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের নবীনবরণ ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২ ফেব্রয়ারি ইউনিভার্সিটির স্প্রিং সেমিস্টারে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে একুশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ হওয়ার আহবান জানান বক্তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকিরের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সাদ আন্দালিব প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান, ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ, অধ্যাপক ড. ফারহানা মেহতাব হেলাল, অধ্যাপক মোহাম্মদ তারেক আজিজ, রেজিস্ট্রার মো. সাইফুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সাদ আন্দালিব বলেন, মানুষ প্রকৃতির বিরুদ্ধে যেতে পারে না। মানুষকে প্রকৃতির সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়েই এগুতে হয়। এটাকেই অপরচুনিটি বানাতে হয়। তিনি বলেন, ইউনিভার্সিটির ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষার্থীদের প্রথম বর্ষ থেকেই আত্মবিশ্বসী হতে হবে। নিজের মূল্যায়ণ নিজেকে করতে হবে। আমি কী, আমি কী করতে পারি এবং আমার উদ্দেশ্য কী সবকিছুকে সামনে রেখে কাজ করতে হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, করোনা মহামারী যেমন গোটা বিশ^ মানবের জীবনকে বাধাগ্রস্থ করেছে, তেমনি তা শিক্ষার ক্ষেত্রে অনলাইন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির এই অনুষঙ্গকে কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, প্রত্যেক শিক্ষার্থীই তার মা-বাবাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে। তাই এই ভালোবাসার ফল হিসেবে চার বছর ধরে প্রস্তুত হবে এবং নিজেকে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে বাবা-মাকে উপহার দিতে হবে। ইংরেজি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে উপাচার্য বলেন, আধুনিক কালে ইংরেজি শুধু ভাষা নয়, এটি এখন প্রযুক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। একুশ শতাব্দীতে চলতে হলে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে এই প্রযুক্তি জানতে হবে।
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক নবীন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, করোনা মহামারী থাকতে পারে, এর চেয়েও বেশি কিছু হতে পারে। কিন্তু কোনোভাবেই শিক্ষার চাকা বন্ধ থাকতে পারে না। এজন্য ইউনিভার্সিটির সংশ্লিষ্টসহ সব শিক্ষার্থীকে এগিয়ে আসতে হবে।
ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধিৎসু মানসিকতার হতে হবে। সব ধরনের সংকোচ কাটিয়ে টেকনিক্যাল ও নন-টেকনিক্যাল জ্ঞানে পারদর্শী হতে হবে। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান বলেন, শুধু পড়ালেখা নিয়ে থাকলে চলবে না। এর পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে নবীন শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন রেজিস্ট্রার মো. সাইফুল ইসলাম।