দেশে করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে বিধিনিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছে সরকার। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বিধিনিষেধের আওতার বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আপাতত বন্ধ হচ্ছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাসে পাঠদান করানো হবে। রোববার (৯ জানুয়ারি) রাতে সরকারের কোভিড-১৯ জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভা সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি পাঠদান করানো হচ্ছে সেভাবে পাঠদান অব্যাহত থাকবে। ওমিক্রন পরিস্থিতি বিস্তার হলেও আপাতত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে না।
জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনেশনের প্রতি জোর দেওয়া হবে। যারা টিকা নিয়েছে তারা সশরীরে ক্লাসে উপস্থিত হবে। যারা এখনো টিকা নিতে পারেনি তারা বাসায় বসে অনলাইনে ক্লাসে যুক্ত হবে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা সম্ভব না হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আপাতত তাদের ক্লাস করানো হবে। সেক্ষেত্রে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও কোভিড-১৯ জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি সার্বিক পরিস্থিতি নিয়মিত তদারকি করবে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও টেকনিক্যাল কমিটি প্রতি সপ্তাহে বৈঠক করে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে সে ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।
রোববার রাত সাড়ে ৯টায় এই সভা শুরু হয়। ওমিক্রন পরিস্থিতি নিয়ে দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যরা নানা ধরনের পরামর্শ প্রদান করেন। আগামীকাল (সোমবার) বেলা ১১টায় শিক্ষামন্ত্রী প্রেস ব্রিফিং করে বৈঠকের সব সিদ্ধান্ত তুলে ধরবেন বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের সচিব প্রমুখ।