জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সাবরিনা আক্তার মিতু দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার ঘটনায় দায়ীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। রোববার সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আয়োজনে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর বিষয়ে এখনও কোথায় যেন শূন্যতা রয়ে গেছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে। সাবরিনার মতো এমন মেধাবীর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু আমরা চায় না। সাবরিনার মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত সবার দ্রুত বিচার করতে হবে। যেহেতু সাবরিনা মারা গেছে, তাকে তো আর তার পরিবার ফিরে পাবে না। এজন্য তার পরিবারকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ.কে.এম মনিরুজ্জামান, কলা অনুষদের ডিন ড. রইছ উদদীন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান, ছাত্র-কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আইনুল, প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালসহ গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, ‘এ ধরনের মৃত্যু আমরা প্রত্যাশা করি না৷ সাবরিনার অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। আজকে এমন একটি মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করতে হবে সেটা প্রত্যাশা করিনি। শুধু চালক নয়, সাবরিনার মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত সবার দ্রুত বিচারের জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘শিক্ষার্থী সাবরিনার মর্মান্তিক মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। কিন্তু এসব ঘটনার কোন প্রতিকার হচ্ছেনা। একজন শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর তার শিক্ষক, সহপাঠী ও অভিভাবকবৃন্দ যেভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় সেভাবে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেনা। এটা খুব নিন্দনীয় ও দুঃখজনক। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর বিষয়ে এখনও কোথায় যেন শূন্যতা রয়ে গেছে। এখন আমাদের আর বসে থাকার সময় নেই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে।
মানববন্ধনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপারসন ড. শাহ মো. নিসতার জাহান কবীর বলেন, ‘সাবরিন আকতার অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। আমরা তাকে হারিয়েছি। সাবরিনার মতো এমন মেধাবীর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু আমরা চায় না। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি হওয়া দরকার৷ যদি শাস্তি হয় তাহলে এমন অনাঙ্ক্ষিত ঘটনা কমে যাবে বলে মনে করি।’