ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ‘শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
বিশ্বপরিমণ্ডলে দক্ষ জনশক্তি ও আত্মমর্যাদাবান নাগরিক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে হলে বঙ্গবন্ধুই মূল অনুপ্রেরণা হয়ে রইবেন বলে মনে করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে বুঝার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বুঝা, আত্মস্থ করা অপরিহার্য। কারণ তিনি এই জাতিরাষ্ট্রের স্রষ্টা। তাঁর হাত ধরেই বাঙালি হাজার বছর ধরে বয়ে বেড়ানো লাঞ্ছনা-বঞ্চনা থেকে মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘আমার বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আন্তঃহল উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য।
উপাচার্য বলেন, ‘আমার বঙ্গবন্ধু- এই থিমটা এভাবে আসার কারণ হলো- একটি পৃথক জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টি, এরপর দ্বিতীয় বিপ্লব কর্মসূচির নামে সামাজিক বিপ্লব-এই যে দুটো বড় কাজ সাধন এবং কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ধারণ করে আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি-এটিকে জাতীয় সংগীতে রূপ দেয়া। বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এসব নিয়ে সাংবিধানিক ভিত্তি তৈরি, শোষিতের গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান- এসবগুলোই বাঙালির আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি করে এবং জাতিসত্ত্বা তথা বাংলাদেশের আত্মশক্তিকে বলিষ্ঠ করে- একারণেই বঙ্গবন্ধু আমাদের। আমরা এটিকে ধারণ করি। বাংলাদেশকে বুঝার জন্য বঙ্গবন্ধুকে বুঝা যেমন অপরিহার্য, তেমনি বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশকে পরিপূর্ণভাবে আত্মস্থ করতে পারলেই বিশ্বপরিমণ্ডলে মাথা উঁচু করে মর্যাদাবান নাগরিক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। একারণেই শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
শিক্ষার্থীদের সাহিত্য, সাংস্কৃতি ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘ভাষাশৈলী, দক্ষতা, যোগ্যতা, সৃজনশীল চর্চা ও সার্বিক উন্নয়নের প্রচেষ্টা আরও বেশি জোরদার করা আবশ্যক। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কেন্দ্রীক যে সাংস্কৃতিক চর্চার ঐতিহ্য ছিল সেটিকেও ফিরিয়ে আনতে হবে।’ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সংশ্লিষ্ট হলের আবাসিক শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।