প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এমপি বলেছেন, কৃষি ক্ষেত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অবদান সোনার হরফে লেখা থাকবে। আজকের কৃষির যে সমৃদ্ধি বঙ্গবন্ধুই এর ভিত রচনা করে গেছেন। সদ্য স্বাধীন দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে তিনি উন্নত চাষ, সেচ, বীজ ব্যবহারের পদক্ষেপ নেন, বিদেশ থেকে ট্রাক্টর, সেচযন্ত্র আনার ব্যবস্থা নেন। বঙ্গবন্ধুই কৃষিবিদদের প্রথমশ্রেণির কর্মকর্তার মর্যাদা দেন এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণ ইনস্টিটিউট (বি.এ.আর.আর.আই), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শীতা ও প্রজ্ঞায় কৃষির অগ্রযাত্রা সূচিত হয়েছিলো।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর গৃহীত কৃষি নীতির পথ ধরেই বাংলাদেশকে আজ কৃষির রোল মডেলে পরিণত করেছেন প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার। দেশ আজ খাদ্যশস্য, মংস্য, দুগ্ধ, মাংসসহ প্রায় সকলক্ষেত্রে স্বয়ম্ভরতা অর্জন করেছে, এজন্য সবচেয়ে বেশি কৃতিত্বের দাবিদার এদেশের কৃষকগণ, তাদের প্রাণান্তকর পরিশ্রমেরই স্বার্থক প্রতিফলন আজকের কৃষি বিপ্লব।
তিনি আজ দুপুরে কুড়িগ্রাম শেখ রাসেল পৌর অডিটোরিয়ামে জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে মুজিব জন্মশতবর্ষে তাঁর প্রতি সম্মান জানাতে সফল শত কৃষককে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন, বিসিএস (কৃষি) এসোসিয়েশনের সভপতি কৃষিবিদ মোয়াজ্জোম হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. শাসুসল হক, কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, কৃষিবিদ তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।