আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন প্রাঙ্গনে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর আয়োজিত ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস-২০২১ উদযাপন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা জানান পদ্মাসেতু, কর্ণফুলী ট্যানেল, রুপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র, মেট্রোরেলসহ অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে যা বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের সুনাম ও চমক সৃষ্টি হয়েছে। এসব উন্নয়ন তাদের সহ্য হয় না বলে নানা কৌশল অবলম্বন করছে। ধর্মীয় উগ্রবাদ সৃষ্টি করে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত এবং বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা চলছে। হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান, মন্ত্রী, আমলা কৃষক-শ্রমিকসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ সবাই এদেশের সন্তান। সবাই মিলে সৌহার্দ্য সম্প্রীতি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণ করতে হবে বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে কোনো বাধাবিঘ্ন ছাড়াই নিজের ধর্ম পালন করছে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম আরো বলেন, অন্য ধর্মের প্রতি সম্মান ও মর্যাদা করার শিক্ষা ইসলামসহ সকল ধর্মেই রয়েছে। কিন্তু একটি গোষ্ঠী ধর্মকে ব্যবহার করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পরই দেশের উন্নয়ন শুরু হয়। কিন্তু পরবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতায় না আসায় দেশে উন্নয়নের ধারা স্থবির হয়ে পড়ে। এরপর পুনরায় শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেশকে নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। এখন লক্ষ্যমাত্রা একটাই ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা বির্নিমান করা। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরো বলেন, নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে দরকার সঠিক নেতৃত্ব। আর সে নেতৃত্ব দেয়ার সক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আছে। যার নজির তিনি ইতোমধ্যে রেখেছেন এবং রেখে যাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে কারণে বাংলাদেশ বিশ্বে আজ উন্নয়নের রোল মডেল। দেশের উন্নয়ন দেখে সারাবিশ্ব আজ হতবাক। সুস্বাস্থ্যের জন্য হাত ধোয়া শুধু বাংলাদেশেই নয় সারা বিশ্বে গুরুত্বসহকারে অনুসরণ করা হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন শহর-নগর, গ্রাম-গঞ্জের সকল মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন করার কাজ চলছে। নিয়মিত হাত ধোয়া, সম্ভাব্য সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে মিলামিশা না করা এবং বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে সকলের প্রতি আহবান জানান। স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দী আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড এবং ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ভিরা মেন্ডোনকা। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান স্বাগত বক্তব্য রাখেন।