ভারতের কলকাতার ১০ বছরের বিস্ময় বালক রেয়াংশ দাস অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের উপর বই লিখেছে। তার এই প্রতিভা দেখে অনেকে বিস্মিত। ‘The Universe : The Past, The Present and the Future’ (দ্য ইউনিভার্স : দ্য পাস্ট, দ্য প্রেজেন্ট অ্যান্ড দ্য ফিউচার) নামের এই বইটিতে বিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের নানা রহস্য তুলে ধরা হয়েছে। বইটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, একটি তারা সেটি পৃথিবীর চেয়ে বয়সে বড় হতে পারে। বিগ ব্যাং থিওরি যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, একাধিক ইউনিভার্স থাকতে পারে। রেয়াংশ তার বইটিতে তারার জীবন চক্র, সৌর জগৎ,ডার্ক ম্যাটার. ডার্ক এনার্জিসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে।
গবেষক নন্দিতা রাহা জানিয়েছেন, ‘মহাবিশ্ব সম্পর্কে রেয়াংশের ধারণা অত্যন্ত পরিষ্কার।’ আসলে সে ৫ বছর বয়স থেকেই আকাশের তারা, নক্ষত্র, এই বিশ্বের বাইরেও কী আছে এসব নিয়ে রেয়াংশের আগ্রহ গড়ে ওঠে।
রেয়াংশ বলে, ‘আমি রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। আর ভাবতাম এই যে আলোকবিন্দু এগুলি আসলে কী? কীভাবে এগুলি তৈরি হয়? কেন আমি এখানে এসেছি?’
এসবের উত্তর পেতে রেয়াংশ জ্যোতির্বিজ্ঞানের উপর নানা বই পড়তে শুরু করে।
তার মা সোহিনী রাউথ জানিয়েছেন, ‘প্রথমে সে ট্যাব নিয়ে খেলত। এরপর অ্য়াস্ট্রোনমি ও অ্য়াস্ট্রোফিজিক্সের উপর নানা ভিডিও দেখা শুরু করে।
৫ বছর বয়স থেকেই ফিজিক্সের নানা থিওরি সে বলতে শুরু করে। বিশেষজ্ঞদের কাছেও নিয়ে গিয়েছি। তাঁরা জানিয়েছেন রেয়াংশ যা বলছে তা সঠিক।’
একটি এনজিওতে চাকরি করেন রেয়াংশের মা সোহিনী। কার্যত একা একাই রেয়াংশকে বড় করেছেন তিনি। তাঁর ভাই সপ্তর্ষি রাউথও সহায়তা করেছিল তাকে। মামার সঙ্গেও নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করত রেয়াংশ।