শুদ্ধাচার চর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান বিষয়ে গত ২৮ জুন ইউজিসি একটি অফিস আদেশ জারি করেছে।
কমিশনের গ্রেড-১ থেকে গ্রেড-১০ ভুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে শুদ্ধাচার চর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ ড. ফেরদৌস জামান-কে ইউজিসি কর্তৃপক্ষ এই পুরস্কার দিয়েছেন। এছাড়া, গ্রেড-১১ থেকে গ্রেড-২০ ভুক্ত কর্মচারীদের মধ্যে রিসার্চ সাপোর্ট এন্ড পাবলিকেশন ডিভিশনের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট রাবেয়া আক্তার মুন্নী এই পুরস্কার অর্জন করেন।
ইউজিসি শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান সংক্রান্ত কমিটি গত ২৮ জুন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে শুদ্ধাচার পুরস্কার ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে এই দু’জনকে চূড়ান্ত নির্বাচিত করে।
শুদ্ধাচার পুরস্কার ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নের জন্য প্রণোদনা হিসেবে তাঁরা এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদপত্র পাবেন।
শুদ্ধাচার পুরস্কার বিষয়ে ইউজিসি সচিব বলেন, যেকোন পুরস্কার কাজের স্বীকৃতি এবং এর মাধ্যমে দাপ্তরিক কাজে দক্ষতার মূল্যায়নও করা হয়। এই পুরস্কার পর্যায়ক্রমে ইউজিসি’র সকল দক্ষ কর্মকর্তাকে দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রচলন বিষয়ে তিনি বলেন, এটি ইউজিসিতে নিযুক্তদের কর্মে প্রতিযোগিতা বাড়াবে এবং দাপ্তরিক কার্যক্রম নিষ্ঠার সাথে সম্পাদনে তাদেরকে আগ্রহী করে তুলবে। তিনি দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে আগামী অর্থবছর থেকে শুদ্ধাচার পুরস্কার চালু করার জন্য অনুরোধ জানান।
ইউজিসি সচিবের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রাপ্তি উপলক্ষ্যে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইউজিসি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ এবং কমিশনের বিভাগীয় প্রধানগণ।
উল্লেখ্য সরকার ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রবর্তন করার পর প্রথমবারের মতো ইউজিসি ২০২০-২০২১ অর্থবছরে শুদ্ধাচার পুরস্কার চালু করেছে।