প্রথমবারের মতো আয়োজিত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ষষ্ঠ দিনে শেষমেশ নিউজিল্যান্ডের কাছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ৮ উইকেটে হেরে বসে টিম ইন্ডিয়া। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি তারা।অপর দিকে নিউজিল্যান্ড টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করলো । বৃষ্টি ও মন্দ আলোর জন্য বারবার ম্যাচে বাধা সৃষ্টি হওয়াকে দায়ি করলেন ইন্ডিয়ান অধিনায়ক। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ইন্ডিয়ার পরাজয়ের পাঁচটি কারণ:-
১.টসে হেরে যাওয়া :টস হারাটা ম্যাচের ফলাফলে কোথাও একটা প্রভাব ফেলে। ক্রমাগত বৃষ্টি ও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় ইংল্যান্ডের পিচে যে কোনও ক্যাপ্টেন টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে চাইবেন। কেন উইলিয়ামসনও তাই করেন। ফলে ইন্ডিয়াকে প্রথম ইনিংসে তুলনায় কঠিন পিরিস্থিতিতে ব্যাট করতে হয়। কোহলি ম্যাচের শুরুতেই জানিয়েছিলেন যে, তিনিও টস জিতলে প্রথমে বোলিং নিতেন।
২. ইনিংস সাজানো: জোড়া স্পিনারে দল সাজানো এবং প্রথম একাদশে পাঁচজন বিশেষজ্ঞ বোলার নেওয়াটাও কোথাও একটা ম্যাচের ফলাফলে প্রভাব ফেলে। প্রথম ইনিংসে অশ্বিন ১৫ ওভার ও জাদেজা ৭.২ ওভার বল করেন। দু’জনে মিলে তিনটি উইকেট নেন। তবে আবহাওয়া অনুযায়ী একজন বাড়তি পেসার খেলালে বুমরাহর ব্যর্থতা ঢাকা যেতে পারত। অন্ততপক্ষে হনুমা বিহারীর মতো একজন একজন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান খেলালে কঠিন পিচে ব্যাটিং লাইনআপ আরও মজবুত হতো।
৩. বৃষ্টি জনিতকারণ: একাদিক বৃষ্টি ও কম আলোয় খেলা বন্ধ হওয়া ইন্ডিয়ার প্রথম ইনিংসে প্রভাব ফেলে। যে কারণে বারবার মাঠ ছাড়তে হয় এবং ফিরে এসে পুনরায় ব্যাট করতে হয়। এতে সেট হওয়ার কাজ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যানদের তেমনই কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় প্রথম ইনিংসে।
৪. বড় ব্যর্থতা ব্যাটসম্যানদের: বড় পার্টনারশিপ গড়তে না পারা ইন্ডিয়ানদের যদি বড় ইনিংস গড়ার পথে প্রতিবন্ধকতা হয়ে থাকে, তবে ভুল শট নির্বাচন করে উইকেট দিয়ে আসাও টিম ইন্ডিয়ার অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। বিশেষ করে শেষ দিনে ম্যাচ নিরাপদ না করেই বড় শট খেলতে চাওয়ার মাশুল দিতে হয়েছে পন্তদের। তাছাড়া প্রথম ইনিংসে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা সেট হয়েও উইকেট দিয়ে এসেছেন। কেউই নিজেদের ইনিংসকে টেনে নিয়ে যেতে পারেননি।
৫. প্রত্যাশা থেকে প্রাপ্তি কম বুমরাহর: বুমরাহর উইকেট তুলতে না পারা ভুগিয়েছে ইন্ডিয়ানদের। অভিজ্ঞ ইশান্ত ও শামি উইকেট পেলেও দলের সেরা পেসার বুমরাহ উইকেটের মুখ দেখেননি। এমন বড় ম্যাচে দায়িত্ব ভাগ করে নিতে ব্যর্থ হন তিনি। অথচ তাঁর কাছ প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি।