‘বাংলাদেশের সমস্ত বড় অর্জন শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে হয়েছে’ উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘যেখানে সবাই এই উন্নয়নের প্রশংসা করছে, সেখানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের ৫০ বছরের অর্জন নিয়ে যে কথা বলেছেন, তাতে মনে হচ্ছে বয়সের কারণে তার মতিভ্রম ঘটেছে। বিএনপির ডাক্তারদের সংগঠন ‘ড্যাব’ কে অনুরোধ জানাবো তার মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে।
‘দেশের ৫০ বছরের অর্জন আওয়ামী লীগ নষ্ট করে দিয়েছে’ বিএনপির মহাসচিবের এমন বক্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী রোববার চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় এসকল কথা বলেন। এদিন দুপুরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী বহলপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভূমিহীনদের মাঝে মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে দুইশতক জমিসহ ঘরের কবুলিয়তনামা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাশেষে সাংবাদিকদের প্রশ্ন নেন তিনি।
দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৪১ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে, খাদ্যঘাটতি থেকে দেশ খাদ্যে উদ্বৃত্ত হয়েছে, স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে বর্ণনা করে ড. হাছান আরো বলেন, ‘আজ বিশ্বের পত্রপত্রিকায় লেখা হচ্ছে, এক সময়ের ঋণগ্রহীতা বাংলাদেশ এখন অন্য দেশকে ঋণ দেয়। বিএনপি এবং তাদের মিত্ররা এই সমস্ত উন্নয়ন দেখতে পায়না। তারা প্রতিদিন মিথ্যাকথন অব্যাহত রেখেছে। তাদের রাজনীতির মূল বিষয় হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য এবং তারেক রহমানের শাস্তি।
ভূমিহীনদের জমি ও গৃহ প্রদানকে প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে অভিহিত করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আগে অনেক মানুষের মানসম্মত গৃহ ছিলনা, বঙ্গবন্ধুকন্যার ঘোষণা অনুযায়ী এখন গৃহসমস্যারও সমাধান হয়েছে। এখন যারা ঘর পেয়েছে তারা কখনো স্বপ্নেও ভাবেনি এভাবে জমিসহ ঘর পাবেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে সরাসরি কথা বলবেন। স্বপ্নকেও হার মানিয়েছে তাদের প্রাপ্তি। এই ধরণের ঘটনা আমাদের দেশে কখনো ঘটেনি, অন্য কোন দেশে ঘটেছে বলে আমার মনে হয় না।
এরআগে সকালে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জমি ও গৃহ প্রদানের দ্বিতীয় পর্যায়ের সূচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে অনলাইনে রাঙ্গুনিয়ায় ভূমিহীনদের দুইশতক জমিসহ সেমিপাকা ঘর প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। রাঙ্গুনিয়া প্রান্ত থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান ও উপকারভোগী জাহানারা বেগম প্রধানমন্ত্রীর সাথে সরাসরি কথা বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। ইউএনও এসময় দুই দফায় রাঙ্গুনিয়ার ১৬৫টি গৃহহীন অতিদরিদ্র পরিবারের মাঝে দুইশতক করে জমিসহ সেমিপাকা ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও আরো কিছু ঘরনির্মাণ চলমান রয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানান।
রাঙ্গুনিয়ার বেতাগী বহলপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পস্থলে এসময় চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান, ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান, পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, মেয়র শাহজাহান সিকদার, উত্তর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।