বিশ্ব নার্স দিবস আজ। আধুনিক নার্সিংয়ের প্রবর্তক ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের সেবাকর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার জন্মদিন ১২ মে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালন করা হয়। ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল ছিলেন অপূর্ব রূপসী, অন্যদিকে খুবই দয়ালু ও স্নেহপূর্ণ মনের অধিকারী। তাকে ইউরোপের অন্ধকারে আলোকবর্তিকা বলে আখ্যায়িত করা হয়।
জন্ম ১৮২০ সালের ১২ মে ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে। নাইটিংগেলের বাবা ছিলেন দুটো স্টেটের মালিক এক ধনী ভূস্বামী। নাইটিংগেল যখন কেবল যৌবনে পা দিয়েছেন, তখন তার বাবা পুরো পরিবারকে নিয়ে ইউরোপ ভ্রমণে বের হন। এই ভ্রমণই তরুণী নাইটিংগেলের চিন্তাধারায় ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসে।
বিশ্বে ১৯৬৫ সাল থেকে পালিত হয়ে আসলেও বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) ১৯৭৪ সাল থেকে দেশে দিবসটি পালন করে আসছে।
আধুনিক নার্সিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের ২০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২০ সালকে আন্তর্জাতিক নার্স ও মিডওয়াইফ বর্ষ ঘোষণা করেছে।’
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী রোগীর বিছানা, চিকিৎসক এবং নার্সের অনুপাত হতে হবে ১:৩। অর্থাৎ একজন চিকিৎসকের সঙ্গে অন্তত ৩ জন নার্স থাকতে হবে। সেই হিসাবে দেশে প্রায় ৩ লাখ নার্সের প্রয়োজন। দেশে বর্তমানে নিবন্ধিত নার্স রয়েছেন ৪৬ হাজারের সামান্য কিছু বেশি। যার মধ্যে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কর্মরত আছেন প্রায় ২৮ হাজার।বর্তমানে দেশে সরকারি ৬২টি নার্সিং প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ২১৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতিবছর সরকারি নার্সিং প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়ে ৫ হাজার এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১১ হাজারের বেশি নার্স নার্সিং কাউন্সিল থেকে সনদপ্রাপ্ত হন।