কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যকে সমগ্র বিশ্বে পরিচিত করেছেন। বাংলা সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই যেখানে তাঁর পদচারণা নেই।
বাঙালির অস্তিত্ব ও সংস্কৃতির সাথে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ওতপ্রোতভাবে মিশে আছেন। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটিতেই আমরা তাঁর রচিত “এসো হে বৈশাখ” গানটির মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করে নিই।
বাঙালির চিন্তা, চেতনা ও অনুভূতিকে সার্থকভাবে প্রতিফলিত করে বলেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান “আমার সোনার বাংলা” গানটিকে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মর্যাদা দিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যকর্ম বিশেষত কবিতা ও গান বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে নিরন্তর উদ্দীপ্ত রেখেছিল।
বাঙালির মানসপটে রবীন্দ্রনাথ সদাই বিরাজমান। তিনি যেন বলে গেছেন সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা। বাংলার সাধারণ, মধ্যবিত্ত ও মাটির মানুষকে সাহিত্যে রূপ দিয়ে তাঁদেরকে আড়াল থেকে আলোকবৃত্তে টেনে আনার গৌরব অর্জনে সক্ষম হয়েছেন।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রেম-বিরহ, আনন্দ-বেদনা, আশা-নিরাশা, সুখ-দুঃখ, সংকটে-সাফল্যে রবীন্দ্রনাথ আমাদের প্রেরণার উৎস। তাই এই করোনাকালেও রবীন্দ্রনাথ আমাদের কাছে অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক।
কোভিড-১৯ মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিস্তার রোধে সরকার কর্তৃক আরোপিত বিধিনিষেধের আওতায় বর্তমানে জনসমাগমপূর্ণ সকল অনুষ্ঠান ও কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সেজন্য দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে ঘরে বসেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করার জন্য সকলকে আহবান জানাই।
পরিশেষে রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বলতে চাই- “নাই নাই ভয়, হবে হবে জয়, খুলে যাবে এই দ্বার”। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্মবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। আসুন, আমরা সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।