আর কোনো ঢিলেমি নয় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় । সীমান্তে ভারতীয় বাহিনী সতর্ক থাকবে বছরভর। ভারতীয় সংসদীয় কমিটির সদস্যদের জানিয়েছেন যতই সময় লাগুক, ভারতীয় বাহিনী সজাগ ও সতর্ক থাকবে।ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান যখন দেশের সুরক্ষায় এই আশ্বাস দিচ্ছেন । সেই সময় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান জানাচ্ছেন, ভারত–চীন বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় শান্তিরক্ষা ও পারস্পরিক বিশ্বাস দৃঢ় করাই চীনের প্রধান কূটনৈতিক লক্ষ্য। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সোমবার রাতে মুখপাত্রের এক বিবৃতিতে বলা হয়, তার প্রতিবেশীসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থ ও আস্থা–ভরসা বৃদ্ধিতে কাজ চালিয়ে যাবে।

গত এপ্রিল–মে মাস থেকে চীন ওই বিস্তীর্ণ এলাকায় চীন পরিকল্পনা করে তাদের শক্তিবৃদ্ধি ঘটিয়ে গেছে। প্রায় ৪০ হাজার সৈন্য তারা ওই এলাকায় মোতায়েন করেছে। কত দিনে তারা সেনা সরাবে, তার কোনো ইঙ্গিত এখনো নেই। সে কারণে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের কাজ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চালানো হচ্ছে। লাদাখ সেক্টরে ভারত ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত দুই ডিভিশন সেনা মোতায়েন করেছে।লাদাখ সীমান্তবর্তী এলাকায় চীনের সিনকিয়াং অঞ্চলের হোটান বিমান ঘাঁটিতে রাখা হয়েছে ৩৬টি যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ২৪টি রাশিয়ার তৈরি জে–১১ ফ্ল্যাঙ্কার ফাইটার যুদ্ধবিমান, ৬টি পুরানো জে–৮ ফাইটার,২টি ওয়াই ৮জি পরিবহন বিমান, ২টি কেজে–৫০০ আরলি ওয়ার্নিং বিমান, ২টি এমআই–১৭ হেলিকপ্টার ও একগাদা সিএইচ–৪ ড্রোন। জুন মাসের সংঘর্ষের আগে ওখানে মাত্র ১২টি ফ্ল্যাঙ্কার যুদ্ধবিমান ছিল।

সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে ভারত। প্রথম দফার রাফাল যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে। রাখা হয়েছে সুখোই–৩০, মিরাজ ও মিগ–২৯। অন্যান্য অবকাঠামোও তৈরি করা হচ্ছে দ্রুত ও নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সড়ক।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে