করোনা ভূয়া রিপোর্ট দেওয়া জালিয়াতির আসামি সাহেদ ও নানা অপকর্মের সাথে জড়িত কারাগারে থাকা শামিমা নূর পাপিয়া বিভিন্ন হোটেলের ছাদে একসঙ্গে পার্টি করতেন। তারা দুইজনই একাধিক সময় একসঙ্গে একে অপরের পার্টিতে এবং হোটেলে থাকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে একটি দৈনিক প্রতিবেদন করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাজধানীর অনেক ৩ স্টার হোটেলের প্লাটিনাম মেম্বার সাহেদ। এমনি একটা হোটেলের ছাদে একাধিক পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন তারা। এই তথ্য গুলো দিয়েছে সাহেদের প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মী।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১৬ সালের দিকে উত্তরায় একটি বিলাস বহুল রিজেন্ট ক্লাব গড়ে তোলেন সাহেদ। আবার সেই ক্লাবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসার কথা ছিল শামিমা নূর পাপিয়ার। সেদিন কোন কারনে পাপিয়া আসতে পারেনি সেই অনুষ্ঠানে তাতে মন খারাপ ও করে ছিলেন সাহেদ। তারপর পাপিয়া একজন তরুনীকে সেখানে পাঠান এবং ওই তরুণীকে নিয়েই ক্লাবটি উদ্বোধোন করেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান।
এইসব ক্লাব মূলত মদ ও অসামাজিক কর্মকান্ডের আসর বসাতেন সাহেদ-পাপিয়া। দেশের অনেক এমপি মন্ত্রীদের সাথে হাত রেখে তারা এইসব কাজ করে থাকে বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়। সাহেদ-পাপিয়ারা ব্যবহার করতো অনেক এমপি মন্ত্রীদের যাদের সাথে বিভিন্ন সমাজ কল্যাণ কাজে গিয়ে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়াতেন তারা। আর তাতে হয়ে যেত এতের অপকর্মের লাইসেন্স।
“সত্যের সময়/জামিল হোসেন”