মো: মুশাহিদ আলী গালিব, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক এডভোকেটশীপ তালিকাভূক্তির চূড়ান্ত ভাইভা পরীক্ষার রেজাল্ট গত ৯ মার্চ প্রকাশ হয়। এই চূড়ান্ত পরীক্ষায় পাশ করে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির ছয়জন শিক্ষার্থী এডভোকেট হিসেবে এনরোলড পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- এস এম তৌফিক, তারিক আহমেদ, আরিফুল ইসলাম অনন্ত, সোমা ইসলাম, মাসুদ রানা, সুলতানা রাজিয়া।

সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের এই ছয় শিক্ষার্থী, যারা আঁধার মাড়িয়ে আশার আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন।  এডভোকেট হিসেবে এনরোলড হওয়ায় শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, “আমি সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (অনার্স) ও এলএলএম শেষ করেছি। পরে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষা দিয়ে কৃতকার্য হয়েছি। আমার প্রিয় শিক্ষক রুনা ম্যাম, দিদার স্যার, শোয়েব স্যার, আফনান স্যারসহ অন্যান্য শিক্ষকেরা আইনের অনেক জটিল বিষয়ের সহজ পাঠদান পদ্ধতি এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি তাদের সহযোগিতামূলক মনোভাবের জন্য তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় সুচনালগ্ন থেকেই স্বল্প খরচে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে, সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। প্রিয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি কামনা করছি।”

এনরোলড পাওয়া অন্য শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, ” প্রথমে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে হাজার শুকরিয়া এই সম্মাননা পাওয়ার । আলহামদুল্লিাহ, এখন থেকে নিজের নামের আগে এডভোকেট শব্দটি যুক্ত হলো। আমার এই পথ চলাটা মোটেও সহজ ছিল না। আমার এই সফলতার পেছনে যাদের অবদান ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয় তারা হলেন আমার বাবা-মা। এরপরেই যাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই তারা হলেন আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক দিদার স্যার, রুনা ম্যাম, শোয়েব স্যার, ব্যারিস্টার মশিউর রহমান সবুজ স্যার, আব্দুল আলিম স্যার সহ অন্যান্য শিক্ষকেরা আইনের অনেক জটিল বিষয়গুলোও অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সহজ-সাবলীলভাবে উপস্থাপন করেছেন। তাছাড়া আমার এই সফলতার পিছনে শিক্ষকদের আন্তরিকতা, সার্বক্ষণিক সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমি শিক্ষকদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি এত সুন্দর, দক্ষ ও পরিপূর্ণ শিক্ষক প্যানেলের ব্যবস্থা করার জন্য এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি সার্বক্ষণিক সহযোগিতামূলক মনোভাবের জন্য আমি সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এবং সেই সাথে এই প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি।

সবশেষে আল্লাহ তায়ালার প্রতি আবারও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এবং সবার কাছে দোয়া চাই আমি যেন এই মহান পেশার সঠিক মূল্যায়ন করতে পারি।” আইন পেশায় এই ছয় শিক্ষার্থী এনরোলড হওয়ায় সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের সকল শিক্ষার্থী আরো ভালো পজিশনে যেতে পারবে, সে বিশ্বাস দৃঢ় হয়েছে।

সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির  আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত সোনারগাঁও  ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের একটা স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ ইউনিভার্সিটিতে ২০১৪ সালে আইন বিভাগের প্রতিষ্ঠার পর থেকেই, আইন বিভাগ নিজস্ব প্রচেষ্টায় শিক্ষার গুনগত মান বজায় রেখে চলেছে। এখানে, মুট, বিতর্কসহ সকল সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা সর্বদা সক্রিয়। আমাদের শিক্ষকবৃন্দ সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন ছাত্রছাত্রীদের গুণগত মানের শিক্ষায় নিয়োজিত রাখতে। আমরা ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক পরিবেশ আইনের উপর সেমিনার করেছি। এছাড়া অনেক এক্সট্রা কারিকুলার কাজে আমরা নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখতে সদা সচেষ্ট। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যাবস্থায়, আমরা আমাদের ছাত্র ছাত্রীদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে ভূমিকা রাখছি। আইনের শাসন, মানবাধিকার এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের সচেষ্ট রাখতে বদ্ধ পরিকর।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে