উদ্ভাবনী শক্তির উদ্দীপনা নিয়ে গবেষণা থেকে বাণিজ্যিকরণ ও উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ইউআইইউ) ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ, ইনোভেশন, ইনকিউবেশন এন্ড কমার্শিলাইজেশন (আইরিক)-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ইউআইইউ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়।

উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সম্মানিত অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো: জসিম উদ্দিন, বিজিএমইএ’র প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান, বিকেএমইএ’র এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম এবং ইউনাইটেড গ্রুপের সম্মানিত চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনুদ্দিন হাসান রশিদ। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইউআইইউ’র ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্স রিসার্চের (আইএআর) নির্বাহী পরিচালক এবং প্রফেসর এমেরিটাস ড. এম রিজওয়ান খান এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউআইইউ আইরিক’র পরিচালক প্রফেসর ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন।  ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউআইইউর উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো: আবুল কাশেম মিয়া।

প্রধান অতিথি ডা. দীপু মনি, এমপি বলেন, ইন্সটিটিউট অফ রিসার্চ, ইনোভেশন, ইনকুভেশন এন্ড কমার্শিয়ালাইজেশন প্রতিষ্ঠা একটি যুগান্তকারী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত যা, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে প্রযুক্তি ব্যবহার করে একাডেমিয়া, ইন্ডাস্ট্রি ও সরকারের মধ্যে সক্রিয় যোগসূত্র স্থাপন করার মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়া গবেষণা সহযোগিতা, স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম এবং উদ্ভাবনী জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও এই ইন্সটিটিউট শিক্ষার্থীদের আগামী দিনে প্রযুক্তিনির্ভর ও স্মার্ট দেশ গড়তে সহায়তা করবে । তিনি আরও বলেন, বিগত বছরগুলোতে অধ্যাপক মামুনের এইমস ল্যাবের প্রজেক্টগুলো বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতকে ডিজিটাল এবং তার তৈরি প্রথম ব্রেইন কম্পিউটার ইন্টারফেস নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবী রাখে। ২০৪১ সালে যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি সেখানে আইরিক একটি অনন্য পদক্ষেপ। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা সব ধরনের সহযোগীতা অব্যহত রাখব।

ইন্সটিটিউট অফ রিসার্চ, ইনোভেশন, ইনকিউবেশন এন্ড কমার্শিয়ালাইজেশনের পরিচালক অধ্যাপক মামুন একাডেমিয়া, ইন্ডাস্ট্রি ও সরকারের মধ্যে সক্রিয় যোগসূত্র স্থাপন করার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি এইমস ল্যাব, বিসিএই রিসার্চ ল্যাব, সেন্টার ফর ডিজিটাল হেলথ ইনোভেশন এন্ড পলিসি রিসার্চ এবং ইন্ডাস্ট্রি এন্ড একাডেমিয়া কোলাবোরেশন সেন্টারকে এক ছাদের নিচে নিয়ে এসেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ইউআইইউ আইরিক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। সেখানে ৪জি প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশে গবেষণা, উদ্ভাবন, ইনকিউবেশন এবং বাণিজ্যিকীকরণ সংস্কৃতি পরিচালনা করা হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা, গবেষক, অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে