স্বাধীন বাংলাদেশ ৫১ বছর পেরিয়ে ৫২তে পদার্পণ করলো। বর্তমানে আমাদের দেশ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিগনিত। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ ও বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে  এ দেশের মুক্তিকামী মানুষ এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত, আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম আর বিপুল ক্ষয়ক্ষতির বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নেয় স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ বাংলাদেশ।

রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র গ্রীন রোডে অবস্থিত এসইউ’র ক্যাম্পাস অডিটোরিয়ামে আজ শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ সব কথা তুলে ধরেন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আবুল বাশার।

অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন এসইউ’র কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম এ মাবুদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজনেস অনুষদের ডীন প্রফেসর আবুল কালাম, রেজিস্ট্রার এস, এম, নূরুল হুদা। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ও স্বাগত বক্তব্য দেন এসইউ’র  ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক কাজী জুলকারনাইন সুলতান আলম।

আলোচনা সভার প্রধান অতিথি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আবুল বাশার মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পাকবাহিনীর আত্মসমর্পনের কথা সবার সামনে তুলে ধরেন। তিনি ১৬ ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বিজয়ের কথা ভুলে না গিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সবাইকে একযোগে কাজ করার কথা বলেন।

বিজনেস অনুষদের ডীন প্রফেসর আবুল কালাম বাংলাদেশের স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য বাঙ্গালি জাতির আত্মত্যাগের কথা উপস্থিতদের মাঝে তুলে ধরেন।

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক মোস্তফা হোসেন মুক্তিযুদ্ধে তার অংশগ্রহণের কথা উপস্থিতদের মাঝে তুলে ধরেন।

রেজিস্ট্রার এস, এম, নূরুল হুদা বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বাঙ্গালি জাতির জীবনে গৌরবময় দিন। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

স্বাগত বক্তব্যে কাজী জুলকারনাইন সুলতান আলম বাঙ্গালি জাতির প্রতি পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর নিপীড়ন ও অত্যাচারের কথা উপস্থিত সবার সামনে তুলে ধরেন। সেই সাথে বাংলাদেশকে স্বাধীনতা এনে দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে