ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) অ্যাডভান্সড ইন্টেলিজেন্ট মাল্টিডিসিপ্লিনারি সিস্টেম ল্যাব (এইমস ল্যাব) ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার আইসিটি বিভাগের যৌথ সহযোগিতায় “স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ২০২২” বিষয়ক সেমিনার এবং “বিস্ক্যান”অ্যাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ১০ অক্টোবর ২০২২, রোজ সোমবার, দুপুর ২:০০ টায় ঢাকার আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার আইসিটি বিভাগের সম্মানিত সিনিয়র সচিব জনাব এনএম জিয়াউল আলম পিএএ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইউআইইউ’র মাননীয় উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ আবুল কাশেম মিয়া, বাংলাদেশ ক্যান্সার হাসপাতাল এ্যান্ড ওয়েলফেয়ার হোমের পরিচালক প্রফেসর ড. এম এ হাই, অবস্টেট্রিকাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ফেরদৌসী বেগম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ডাঃ এ.ই. মোঃ মুহিউদ্দিন ওসমানী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ মোস্তফা কামাল। অনুষ্ঠানে “বিস্ক্যান” অ্যাপের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউআইইউ সিএসই বিভাগের অধ্যাপক এবং এইমস ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক প্রফেসর ড. খন্দকার আব্দুুল্লাহ আল মামুন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে স্তন ক্যান্সারের প্রকোপ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। দেরিতে শনাক্তকরণের ফলে চিকিৎসার খরচ বাড়ে এবং বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও কমতে থাকে। বাংলাদেশে নারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে অনেক ক্ষেত্রেই স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ে না। উন্নত দেশগুলিতে, স্তন ক্যানসার আগে থেকেই শনাক্ত করার কারণে, ভাল চিকিৎসার মাধ্যমে মৃত্যুর শঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়।

‘‘ক্যানএওয়ার’ প্রকল্পটি বাংলাদেশে ক্যান্সার সচেতনতা, শিক্ষা, স্ক্রীনিং এবং রেফারেলের জন্য একটি ইন্টারেক্টিভ সিস্টেম’- যা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্ভাবন তহবিলে; এইমস ল্যাব, ইউআইইউ, সিমেড হেলথ ও কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার এর যৌথ উদ্যোগে; অধ্যাপক এমএ হাই এবং অন্যান্য ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় তৈরী করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং প্রোটোকল উদ্ভাবিত হয়েছে। প্রোটোকলটি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) দ্বারা ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য অনুমোদিত হয়েছিল এবং নিরীক্ষা পর্যায়ে ৯৭% সঠিক ফলাফল দিয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ‘www.canaware.org’ ওয়েবসাইট এবং ‘BScan’ মোবাইল অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে স্তন ক্যান্সার স্ক্রীনিং, সচেতনতা বৃদ্ধি, অভিজ্ঞ ডাক্তার/হাসপাতালের কাছে রেফার করা এবং কাউন্সেলিং করা যাবে।

‘বিস্ক্যান’ অ্যাপটি ব্যবহার করে, বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় স্তন ক্যান্সারের প্রাথমিক স্ক্রিনিং সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব বলে অনুষ্ঠানে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সরকারি কর্মকর্তা, গবেষক এবং অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে