এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত কিছু করতে না পারলেও বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন সাকিব। যার প্রভাব পড়েছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ হারলেও বোলিং র‍্যাঙ্কিংয়ে আট ধাপ এগিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

বুধবার সাপ্তাহিক র‍্যাঙ্কিংয়ের হালনাগাদ প্রকাশ করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।

যেখানে আট ধাপ এগিয়ে সাকিব অবস্থান করছেন ১৯ নম্বরে। বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের রেটিং পয়েন্ট ৫৯১। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে তার সেরা বোলিং র‍্যাঙ্কিং ছিল ২০১৩ সালের মে মাসে। সেবার চতুর্থ স্থানে উঠেছিলেন তিনি।

আগের দিন শারজাহতে এশিয়া কাপের ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে আফগানদের কাছে ৭ উইকেটে হেরে যায় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে তিনে নেমে ৯ বলে ১১ রান করে বোল্ড হন সাকিব। এরপর বোলিংয়ে কাড়েন আলো। ৪ ওভারের কোটা পূরণ করে মাত্র ১৩ রান দিয়ে তিনি সাজঘরে পাঠান রহমানউল্লাহ গুরবাজকে। কোনো বাউন্ডারি হজম না করার পাশাপাশি তিনি ডট দেন ১২টি।

টি-টোয়েন্টি বোলিং র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন অস্ট্রেলিয়ার জস হ্যাজেলউড। টাইগারদের বিপক্ষে ২২ রানে ৩ উইকেট নেওয়া আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খান জায়গা করে নিয়েছেন সেরা তিনে। দুই ধাপ উন্নতি হয়েছে তার। রশিদের সতীর্থ অফ স্পিনার মুজিব উর রহমান চার ধাপ এগিয়ে নয় নম্বরে উঠেছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন তিনি।

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সাকিবের উপরে আছেন কেবল শেখ মেহেদী হাসান। যদিও এক ধাপ অবনতি হয়েছে তার। তিনি রয়েছেন ১৬তম স্থানে। বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের অবস্থান ২২ নম্বরে। সেরা পঞ্চাশের মধ্যে আরও আছেন মোস্তাফিজুর রহমান (৩১তম) ও শরিফুল ইসলাম (৫০তম)।

টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং র‍্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর স্থানেও কোনো বদল নেই। পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আছেন সেখানে। সেরা ত্রিশে নেই বাংলাদেশের কোনো ব্যাটার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৭ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলা মাহমুদউল্লাহর অবস্থানই সেরা। তিনি দুই ধাপ এগিয়ে আছেন ৩৮ নম্বরে। চার ধাপ পিছিয়ে বাঁহাতি ওপেনার নাঈম শেখ নেমে গেছেন ৪০তম স্থানে। এছাড়া, লিটন দাস ৪৯, আফিফ হোসেন ৫৭ ও সাকিব ৬৮ নম্বরে রয়েছেন।

এই সংস্করণের অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। গত রোববার দুবাইতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের ৫ উইকেটের জয়ে তিনি হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। বল হাতে ২৫ রানে ৩ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ১৭ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। হার্দিক আট ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ক্যারিয়ারসেরা পাঁচ নম্বরে। তার রেটিং পয়েন্ট ১৬৭।

টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে আছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি। দুইয়ে অবস্থান করছেন সাকিব।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে