জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪৭ তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির গ্রিন রোডের ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে আজ বুধবার (২৪ আগস্ট) বেলা দেড় টায় এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: আবুল বাশার। এতে আলোচক হিসেবে ছিলেন এসইউ’র বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মীর মেহেদী হাসান টিটু।  অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও সুচনা বক্তব্য দেন এসইউ’র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং এসইউ’র ছাত্রকল্যাণ  উপদেষ্টা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো: ইয়াকুব আলী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন এসইউ’র ট্রেজারার প্রফেসর মো: আল-আমিন মোল্লা,

কলা ও মানবিক অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. এম এ মাবুদ, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো: আলমগীর হোসেন, ব্যবসায় অনুষদের ডীন প্রফেসর আবুল কালাম এবং এসইউ’র রেজিস্ট্রার এস, এম, নূরুল হুদা।

অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন এসইউ’র প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর শামীম আরা হাসান।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: আবুল বাশার বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যে হত্যাকান্ড ঘটেছিল তা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের নৃশংসতম ও মর্মস্পর্শী হত্যাকান্ড। এই হত্যাকান্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশে কালিমাযুক্ত ইতিহাস রচিত হয়েছিল।

অনুষ্ঠানের সভাপতি এসইউ’র প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর শামীম আরা হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন আমাদের স্বপ্নদ্রষ্টা। আমরা লজ্জিত আমরা আমাদের আদর্শকে হত্যা করেছি। ১৫ আগস্ট ঘটে যাওয়া বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকান্ডকে তার পরিবারকে নির্বংশ করার চক্রান্ত বলে উল্লেখ করেন তিনি। বঙ্গবন্ধুকে যে বা যারা অস্বীকার করে, এর চেয়ে হ্রদয়বিদারক আর কিছুই নেই। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও আদর্শকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌছে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে তার কন্যাদ্বয়ের জীবনী পড়ার জন্য উপস্থিত সবাইকে অনুরোধ জানান তিনি। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ার জন্য বঙ্গবন্ধু নিরন্তর চেষ্টা করে গেছেন।

বিশেষ অতিথি এসইউ’র ট্রেজারার প্রফেসর মো: আল-আমিন মোল্লা ঘাতকের বুলেটে বঙ্গবন্ধুসহ যারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা স্বল্প সময়ে বলে শেষ করা যাবে না। তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবনী উপস্থিত সবার মাঝে তুলে ধরেন। তার আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে পারলে আমরা বাংলাকে সোনার বাংলা নয় হীরার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো।

কলা ও মানবিক অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. এম এ মাবুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ তাকে কিভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিল তা উপস্থিত সবার মাঝে তুলে ধরেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বের কথাও তুলে ধরেন।

বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো: আলমগীর হোসেন বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতিকে হারিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব পুরো বাঙালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিল।

বিশেষ অতিথি রেজিস্ট্রার এস, এম, নূরুল হুদা জাতির পিতা ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু ১৪ বছর জেল খেটেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন বাংলাদেশকে বিনির্মানের জন্য।

অনুষ্ঠানের আলোচক এসইউ’র বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মীর মেহেদী হাসান টিটু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করে পাকবাহিনী কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা থেকে শুরু করে তার বাংলাদেশে ফেরার ইতিহাস উপস্থিত সবার মাঝে তুলে ধরেন।

আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধুর ৪৭ তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু : একটি জাতি, রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা’ বিষয়ক রচনা প্রতিযোগীতায় বিজয়ী তিন জনকে পুরষ্কার প্রদান করা হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে