শেষ দুইটা সিরিজে নিউজিল্যান্ড ও ভারতকে হারিয়ে ইংল্যান্ড যেনো উড়ছিল। সেই ধারাবাহিকতা থেকেই নিজেদের মাটিতে বেশ ফুরফুরে মেজাজে মাঠে নামে ইংলিশরা। লর্ডসে যার শুরু হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে দিয়ে। কিন্তু এবার দক্ষিণ আফ্রিকা উড়িয়ে দিল ইংলিশদের। লর্ডসে এভাবে লজ্জা পেয়ে যাবে ইংল্যান্ড ভাবেননি স্টোকসরা।

৩৮ ওভারও টিকে থাকা সম্ভব হয়নি। ইনিংস ও ১২ রানের হারে ইংল্যান্ড ডুবল কী ভীষণ লজ্জায়। কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও অধিনায়ক বেন স্টোকসের প্রথম হার।

অথচ, গ্রীষ্মের শুরুটা হয়েছিল ইংল্যান্ডের দারুণ চারটি জয় দিয়ে। সেই তারাই চোখ ধাঁধানো প্রোটিয়া বোলিংয়ে গুটিয়ে গেল। রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ।

শুক্রবার দিনটা ভুলে যেতে চাইবেন স্টোকসরা। আনরিখ নরিয়া কাঁপিয়ে দিলেন ক্রিকেটের জনকদের। ১০ বলের ব্যবধানে কোনো রান না দিয়ে এই প্রোটিয়া পেসার তিন উইকেট নেন।

বাঁ-হাতি স্পিনার কেশব মহারাজ ধ্বংসযজ্ঞের সূচনা করেন দুই উইকেট নিয়ে। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়া কাগিসো রাবাদা দ্বিতীয় ইনিংসে নেন দুই উইকেট। সাত উইকেট নিয়ে তিনিই ম্যাচসেরা।

১৬১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা প্রোটিয়া বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারেননি। সর্বোচ্চ রান অ্যালেক্স লিস ও স্টুয়ার্ট ব্রডের। দুজনই সমান ৩৫ রান করেন। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ১৪৯ রানে।

এর আগে প্রথম ইনিংসে সাত উইকেটে ২৮৯ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্যান্ডের চেয়ে ১২৬ রানে এগিয়ে তারা। ৩২৬ রানে শেষ হয় সফরকারীদের দ্বিতীয় ইনিংস। সিরিজে ১-০তে এগিয়ে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা বৃহস্পতিবার ওল্ড ট্রাফোর্ডে দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে নামবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে