দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট অফিসে ২৫ শতাংশ বিদ্যুৎ ব্যয় ও ২০ শতাংশ জ্বালানি খরচ কমাতে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। গত ২৪ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পক্ষ থেকে মাউশির উপ-পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) অধ্যাপক বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মাউশির অধীনস্থ সব অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাশ্রয় করতে হবে। সে জন্য নতুন করে ৫ দফা নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। সেগুলো হলো-
১. মাউশি ও তার অধীনস্থ সকল অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের ব্যবহার ২৫ শতাংশ কমাতে হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। এ সংক্রান্ত একটি সাশ্রয়ী প্রতিবেদন প্রতি মাসের ৩ তারিখের মধ্যে এ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইংয়ে পাঠাতে হবে।
২. শিক্ষক-কর্মকর্তার গাড়ির জ্বালানি সংক্রান্ত মাসিক প্রাপ্যতা থেকে ২০ শতাংশ হ্রাস করতে হবে।
৩. যেসব সভা-অনুষ্ঠান অনলাইনে করা সম্ভব সেসব অনুষ্ঠান সশরীরে আয়োজন পরিহার করতে হবে।
৪. যেসব কর্মকর্তাদের রুমে এসি রয়েছে সেসব এসি ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় চালাতে হবে।
৫. উল্লেখিত নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহার সঠিকভাবে করা হচ্ছে কিনা তা তদারকি করার জন্য প্রত্যেক অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মনিটরিং টিম গঠন করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, এ অধিদপ্তরের আওতাধীন সকল অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহার সঠিকভাবে করা হচ্ছে কিনা তা তদারকিপূর্বক একটি সাশ্রয়ী প্রতিবেদন প্রতি মাসের ৩ তারিখের মধ্যে মাউশির মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইংয়ে পাঠাতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
