প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও দেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের গৃহীত ভিশন ২০২১ ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে দক্ষ মানবসম্পদের বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে সাক্ষরতা ও দক্ষতা উন্নয়নের জন্য মৌলিক সাক্ষরতার সাথে প্রি-ভোকেশনালসহ জীবনব্যাপী শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সম্মেলন কক্ষে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস২০২১ উপলক্ষ্যে আয়োজিত ” মানবসম্পদ উন্নয়নে সাক্ষরতার ভূমিকা ” শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

গোলটেবিল আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রতন চন্দ্র পন্ডিত(বিদ্যালয় ),মোঃ আবু বকর সিদ্দিক (প্রশাসন), মোঃ রুহুল আমিন(উন্নয়ন ) ও মোঃ মোশাররফ হোসেন(বাজেট)। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক মোঃ আতাউর রহমান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিশ্ব বদলে যাওয়ার নিয়মক শক্তি তথ্যপ্রযুক্তি। অদক্ষ শ্রমিককে দক্ষ করে তোলার জন্য প্রযুক্তিগত ও কারিগরি প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরতা শিক্ষার পাশাপাশি আইসিটি ভিত্তিক সেবা ও প্রি-ভোকেশনাল প্রশিক্ষণের কথা বিবেচনা করে আমরা ‘জীবনব্যাপী শিক্ষা’ কর্মসূচি নামক স্থায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করেছি।এই কর্মসূচির আওতায় নিক্ষর জনগোষ্ঠী উন্নত প্রযুক্তি দক্ষতা প্রশিক্ষন গ্রহণ করে পেশাগত দক্ষতা অর্জন মাধ্যমে দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং প্রচুর রেমিট্যান্সের অর্জন করে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা হতে আগত প্রতিনিধিবৃন্দ মানবসম্পদ উন্নয়নে সাক্ষরতা ও কারিগরি প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষজ্ঞ মতামত গোলটেবিল আলোচনা সভায় উপস্থাপন করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে