১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি (এসইউ)’র  ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আজ ২৬ আগস্ট সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হয় । এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে সিনিয়র লাইব্রেরি অফিসার মাসুদ মিয়া কোরআন তেলওয়াত করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবুল বাশার। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে এসইউ’র কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম. এ মাবুদ, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. আলমগীর হোসেন, ব্যবসায় অনুষদের ডিন আবুল কালাম, রেজিস্টার  এস, এম, নূরুল হুদা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন এসইউ’র উপ-উপাচার্য প্রফেসর শামীম আরা হাসান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে  রেজিস্টার  এস, এম, নূরুল হুদা বলেন, ১৯৭৫ সালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যে হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় তা ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ড। এতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের সবাই শহীদ হন।

এসইউ’র একাডেমিক অ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের পরিচালক  মোহাম্মদ তাজউদ্দিন শিকদার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতার মৃত্যুতে আমরা সবাই মর্মাহত। বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ওমর ফারুক মোল্লা বলেন, আমরা যে বাংলাদেশ পেয়েছি তার পেছনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে অস্বীকার করার উপায় নাই্।

ব্যবসায় অনুষদের ডিন আবুল কালাম বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রতিটি মুহূর্তে দেশের জন্য চিন্তা করেছেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের ও এদেশের মানুষের স্বপ্নের জনক। তার শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আমরা ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ নামে কুইজ প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছি।

বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. আলমগীর হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু জাতির জন্য অত্যন্ত দু:খজনক। আমরা অনন্তকাল ধরে তাকে স্মরণ করবো। কারণ আমরা হারিয়েছি এক মহান নেতাকে ও তার পরিবারকে।

কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম. এ মাবুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রভাব ছিল তার মধ্যে। বঙ্গবন্ধু দেশকে রক্ষা করার ডাক দিয়ে ছিলেন। তার ভাষণে আমি উদ্দীপ্ত হয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুর জন্য আমরা সবাই একত্রে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। আমাদের সৌভাগ্য তার মতো একজন নেতার  জন্ম বাংলাদেশে হয়েছিল। দেশের জন্য ও মানুষের জন্য যা যা করা দরকার বঙ্গবন্ধু তার সবই করেছেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবুল বাশার বলেন, প্রতিবছরের মতো এবছরও স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শাহাদত বরণকারী সবার জন্য আন্তরিক দোয়া ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। তিনি বলেন, শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে ইতোপূর্বে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে কুইজ প্রশ্নোত্তর পর্ব ও মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ছিলেন দক্ষিণ  এশিয়ার শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে  দেশ পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে সব অফিসে অনলাইন সিস্টেম চালু হয়েছে। সেই সাথে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও অনলাইনে ক্লাস করতে পারছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি এসইউ’র উপ-উপাচার্য প্রফেসর শামীম আরা হাসান ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য। তিনি এদেশের জন্য বারংবার কারা বরণ করেছেন। তিনি আরো বলেন, কুচক্রিমহল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি তারা হত্যা করেছে সাড়ে ৭ কোটি বাঙালিকে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে