ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন-ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, নাগরিক সেবায় চালু রয়েছে “সবার ঢাকা” মোবাইল অ্যাপস, জরুরী সেবায় ৩৩৩ নম্বর এবং ডিএনসিসির ০৯৬০২২২২৩৩৩ ও ০৯৬০২২২২৩৩৪ নম্বর হটলাইন।

আজ ৫ জুন, শনিবার  রাজধানীর মিরপুর-১০ এলাকায় রাড্ডা এমসিএইচ-এফপি সেন্টারে ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ডিএনসিসি মেয়র বলেন, সম্মানিত নাগরিকদের তথ্য ও সেবা গ্রহণ, মতামত জানানো এবং অভিযোগ দাখিলের জন্য “সবার ঢাকা” মোবাইল অ্যাপস, জরুরী সেবা সংক্রান্ত ৩৩৩ নম্বর এবং ডিএনসিসির ০৯৬০২২২২৩৩৩ ও ০৯৬০২২২২৩৩৪ নম্বর হটলাইন চালু রয়েছে। মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, “সবার ঢাকা” মোবাইল অ্যাপসটি ব্যবহার করে যে কোন নাগরিক অতি সহজেই এলাকার রাস্তা, মশক, সড়ক বাতি, আবর্জনা, জলাবদ্ধতা, পাবলিক টয়লেট, নর্দমা ও অবৈধ স্থাপনা এই আটটি বিষয়ে সরাসরি তার মতামত কিংবা অভিযোগ ডিএনসিসির কাছে তুলে ধরতে পারেন। অ্যাপসটির মাধ্যমে এ সংক্রান্ত অভিযোগ দাখিলের পর নাগরিকরা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই উক্ত সমস্যার সমাধান পাচ্ছেন।

তিনি বলেন, খাদ্য সহায়তাসহ যে কোন জরুরী সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে যোগাযোগের জন্য ৩৩৩ নম্বর এবং ডিএনসিসির বিভিন্ন তথ্য ও সেবা সংক্রান্ত সহায়তা পাওয়ার জন্য ০৯৬০২২২২৩৩৩ ও ০৯৬০২২২২৩৩৪ নম্বর হটলাইন সচল রয়েছে। ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ভিটামিন “এ” এর অভাবে শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং রাতকানা ও অন্ধত্বসহ চোখের নানা রোগ দেখা দেয়। এছাড়া রক্তশূন্যতা এমনকি শিশুর মৃত্যু হতে পারে। তাই শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও দৃষ্টিশক্তির জন্য ভিটামিন “এ” অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এর ১০টি অঞ্চলের আওতাধীন ৫৪ টি ওয়ার্ডের ১ হাজার ৯ শত ৫ টি কেন্দ্রে একযোগে জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হচ্ছে। ৫ জুন ২০২১ থেকে ১৯ জুন ২০২১ পর্যন্ত মোট ১৪ দিন এই ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। তিনি বলেন, ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী সকল শিশু একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ” ক্যাপসুল (১ লাখ আই ইউ) এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন “এ” ক্যাপসুল (২ লাখ আই ইউ) খাওয়ানো হবে। ডিএনসিসির মেয়র আজ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সকল এলাকায় একযোগে শুরু হওয়া ১৪ দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ডিএনসিসি বিভিন্ন জায়গায় খাল উদ্ধার ও পরিস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে, জনগণের সহায়তায় তা অব্যাহত থাকবে। মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, তিনি কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী বলেই পহেলা জুন ঢাকায় দীর্ঘ সময় ধরে রেকর্ড ৮৫ মিলিমিটার পরিমাণ বৃষ্টিপাত হলেও দ্রুততম সময়ের মধ্যেই নগরবাসীকে জলজট থেকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনীয়া প্রতিরোধে পহেলা জুন থেকে চিরুনী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে, আগামী ১২ জুন পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জোবায়দুর রহমানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে