তারেককে মাসে দেড় কোটি টাকা দিতেন সাহেদ

0
984

বাংলার বুকে পশুর জন্ম বলে আক্ষাহিত করা সাহেদ, যে ভুয়া সনদ দেওয়ার অভিযোগে কারাগারে বর্তমানে বন্দী আছেন। এই দিকে এক পর এক রহস্য উঠে আসছে তার অপকর্মের কারনে, শোনা যাচ্ছে তারেক রহমানের সাথে তার একটা সম্পর্ক ও আছে যার ফলে প্রতি মাসে তারেককে দিতে হত প্রায় দেড় কোটি টাকা।

রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ বিভিন্ন সময়ে নিজেকে বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের পরিচয় দিলেও তার উঠে আসা মূলত বিএনপির শাসনামলে হওয়া ভবন থেকে। বলা হচ্ছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের খুবই কাছের এবং আস্থাভাজন ছিলেন সাহেদ।

বিএনপির শাসনামলে তৈরি হাওয়া ভবনে যাতায়াত করার কারণে তারেক-মামুনের সাথে স্বজনপ্রীতি উঠে তার। পরে তারকে রহমান বিভিন্ন মামলার আসামী হওয়ার দরুন দেশত্যাগ করেন, আর সাহেদ দেশ থেকে ‘গুরু দক্ষিণা’ হিসাবে তাকে প্রতি মাসে দেড় কোটি টাকা করে পাঠাতেন বলে জানা যায়। আর এই বিষয়টি দামা-চাপা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় আওয়ামীলীগ এর কর্মীদের সাথে ফোটসেশন করে সবাইকে বুঝাতেন তিনি আওয়ামীলীগ এর একজন কর্মী।

গায়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ এর লেবাস লাগিয়ে করেছেন দিনের পর দিন অপকর্ম, ক্যামেরার সামনে নিজেকে নির্দোষ রাখতে করেছেন অনেক অভিনয় এই রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ। আর এইসব অপকর্মের একটা নির্দিষ্ট আমাউন্ট দিতেন বিএনপির সাংগঠনিক কাজে। তবে সেই টাকা পুরোটা চলে যেতেন তারেক রহমানের কাছে।

সূত্রটি আরও জানায় যে, তারেক রহমানের আস্থাভাজন থাকায় সাহেদ তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ড্যাব এর সভাপতি ডাঃ জাহিদের সঙ্গে একটা ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলেন। আর তখনি তিনি পরিকল্পনা করেন হাসপাতাল নির্মাণে। সেই জন্য নিয়মিত যাতায়াত ছিল হাওয়া ভবনে, পরিচিত হয়ে ওঠেন সবার কাছে। মূলত সেখান থেকে তার উত্থান ঘটে।

এই বিষয় নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুবদলের একজন কর্মী বলেন, গত বছরের জুনে তিনি উত্তরায় রিজেন্ট কর্যালয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে সাহেদ তার সমনেই তারেক রহমানের সাথে স্কাইপিতে কথা বলতে দেখেন।

 

তথ্যসূত্রঃ শরিয়তপুর বার্তা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে